‘বাংলাদেশের মানুষের সব গণতান্ত্রিক, মৌলিক অধিকার মানবাধিকার সব দলিত-মথিত করে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল করা হয়েছে। সব মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে, ভোটাধিকার ডাকাতি করে, দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করে ক্ষমতাসীনরা কাউন্সিলে বাগড়ম্বরের নামে জনগণের সঙ্গে ঠাট্টা করেছে।’-
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেছেন।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে
শেখ হাসিনা বলেছেন ‘আমি ভেবেছিলাম, আপনারা আমাকে ছুটি দেবেন।’ ছুটি অন্যরা দেবে কেন, ছুটি আপনি নিজেই নিয়ে নিতে পারতেন। আসলে আপনার এসব কথা জনগণের সঙ্গে ‘ডার্ক হিউমার’। রাজনীতি থেকে অবসরের কথা আপনি এর আগেও বলেছিলেন; কিন্তু সে কথাও রাখেননি। অর্থাৎ আপনি মুখে যা বলেন অন্তরে পোষণ করেন অন্যটি। জিঘাংসা ও ভোগবাদের মিলিত রুপ আপনার সরকার। সেখানে মানবতা আর ন্যায়বিচারের কোনো বালাই নেই। দলীয় প্রধানের পদসহ দখল করা মসনদের প্রধান আপনি। সুতরাং আপনি আপনার কুক্ষিগত কোনো পদ থেকে সরে যাবেন– এটি পাগলেও বিশ্বাস করবে না।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, জাতিকে এই মিডনাইট সরকার যে গভীর সংকটে পতিত করেছে, সেই সংকট উত্তরণের ইতিবাচক কিছু আসেনি এই কাউন্সিলে। বরং
শেখ হাসিনা সভাপতি ও
ওবায়দুল কাদের সাহেব
সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর দিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সমহিমায় আবির্ভূত হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমণ করেছে, ছাত্রদের রক্তে রক্তাক্ত হয়েছে ক্যাম্পাস, চালের দাম ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশিদের হত্যার হিড়িক চলছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, অটো রিকশায় আবারও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুই তরুণী এবং শেয়ারবাজারে নেমেছে আরও ধস।