বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী রোববার বাদ মাগরিব ধানমন্ডির নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।) মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। মৃত্যুর সময় তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ২০০১ সালের ২৮শে ফেব্রæয়ারি বিচারপতি লতিফুর রহমানের অবসর গ্রহণের পর মাহমুদুল আমিন চৌধুরী দেশের ১১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। সুপ্রিমকোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ ঈমান আলী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সম্পাদক ও অন্যান্য আইনজীবী এবং পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আজ এশার পর সিলেটে হযরত শাহজালাল র. এর মাজারে তার জানাজা শেষে মাজারেই তাকে দাফন করা হবে।
মাহমুদুল আমিন চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ই জুন। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুল গফুর চৌধুরী। মাহমুদুল আমীন সিলেট জেলা বারের সাবেক আইনজীবী। তিনি সিলেট এমসি কলেজ ও সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ঢাকা সিটি ল’কলেজ হতে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে আইনজীবী হিসেবে সিলেট জেলা বারে যোগ দেয়া মাহমুদুল আমীন চৌধুরী ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৯৯ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি বিচারপতি লতিফুর রহমানের অবসর গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে ১১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে মাহমুদুল আমীন চৌধুরীকে নিয়োগ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। ২০০১ সালের ১ মার্চ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। ২০০২ সালের ১৭ জুন ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন মাহমুদুল আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।