Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-দিল্লিতে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়েই ক্ষোভের শুরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দু’মাস আগে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সাক্ষাৎকারে প্রাথমিক ভাবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রর নাম ছিল না। মুজিব-কন্যার আগ্রহে কিছুক্ষণ পরে সেখানে পৌঁছান ইন্দিরার নাতনি। তাদের আলিঙ্গনাবদ্ধ ছবিটি প্রিয়ঙ্কার টুইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

ক‚টনৈতিক সূত্রের ব্যাখ্যা, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে অধুনা শৈত্যের যে বাতাবরণ দেখা যাচ্ছে তার শুরু হয়েছিল সে দিনই। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে বড় ভ‚মিকা নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পরিবারের প্রতি নৈকট্য সে দিন গোপন করেননি শেখ হাসিনা। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, মোদি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রেখেও নেহরু-গান্ধী পরিবারের প্রতি প্রীতির সম্পর্ক বজায় রাখতে চান তিনি। সূত্রের মতে, বিষয়টিতে কিছুটা আড়ষ্টতা তৈরি হয় সাউথ বøকে। এর পরে যখন ক্রিকেট দেখতে কলকাতা পৌঁছান শেখ হাসিনা, বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে দিল্লি থেকে কোনও মন্ত্রী বা শীর্ষ ক‚টনীতিককে পাঠায়নি মোদি সরকার। এই বিষয়টি যথেষ্ট ক্ষুন্ন করেছে ঢাকাকে।

বাংলাদেশের এক ক‚টনৈতিক জানান, বাংলাদেশ সব ব্যাপারে পাশে থাকবে বলে ধরেই নিয়েছে নয়াদিল্লি। তাই কিছু ক্ষেত্রে অভ‚তপূর্ব উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। শুধুমাত্র কলকাতা সফর তো নয়, অক্টোবরে নয়াদিল্লি সফরেও প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছিল প্রথম বারের এমপি এক নতুন মন্ত্রীকে। নরেন্দ্র মোদি নিজে না পারেন, কোনও সিনিয়র মন্ত্রীকে কি পাঠানো সম্ভব ছিল না ?

এই মন কষাকষির মধ্যেই চলে আসে আসমে এনআরসি নিয়ে অশান্তি এবং এবং তার পরে নাগরিকত্ব আইন পাশ করানোর প্রক্রিয়া। এর মধ্যে এক বার নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের পার্শ্ববৈঠকে, অন্য বার অক্টোবরের নয়াদিল্লি সফরে এনআরসি নিয়ে মোদির কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু এই বিল পাশ করানোর সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদের দুই কক্ষে বার বার পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশকে একই বন্ধনীতে রাখায় ঘৃতাহুতি হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিসরে।
আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি কট্টর ইসলামি অংশ রয়েছে, যাদের মতামতকে গ্রাহ্য করে চলতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে সাড়া না-পাওয়া সত্তে¡ও, শেখ হাসিনা কেন উদার ভারতনীতি নিয়ে চলছেন, এই প্রশ্ন তুলেছে সেই কট্টর অংশ। নাগরিকত্ব আইনে বিষযটি আরও জটিল হয়েছে।

ঢাকা সূত্রের বক্তব্য, পর পর দুই মন্ত্রী ও প্রতিনিধি দলের ভারত সফর বাতিল করে সেই অভ্যন্তরীণ রোষকে ধামাচাপা দিতে পেরেছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর বাতিল হওয়ার পরে চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি ঢাকার তরফ থেকে বাতিল করে দেওয়া হয় দু’দেশের যৌথ নদী কমিটির বৈঠকও। কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পানিসম্পদ মন্ত্রীকে জানিয়ে দেন, তাড়াহুড়ো করে নয়াদিল্লি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বলে দেওয়া হোক সংশ্লিষ্ট নদী সংক্রান্ত যথেষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণ করা হয়নি। এর পিছনে যে নির্দিষ্ট ক‚টনৈতিক বার্তা দেয়ার ছিল, দিল্লিতে তা পৌঁছে গিয়েছে বলেই মনে করছে ঢাকা।



 

Show all comments
  • Arif Hasan ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪০ এএম says : 0
    Good Decision..
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম চঞ্চল ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
    বাংলাদেশের এখন উচিত পরিপক্ক কূটনীতিক আচরণ করা।
    Total Reply(0) Reply
  • মেহেদী ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
    ভারতকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
    Total Reply(0) Reply
  • তোফাজ্জল হোসেন ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
    বিজেপি মুসলিম বিরোধী এসআরসির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জোরালো প্রতিবাদ করা জরুরি।
    Total Reply(0) Reply
  • কাজী হাফিজ ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৫ এএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রীর সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তার একটা বদলা নেয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Kabir Ahmed ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১০:৫০ এএম says : 0
    চিন্তা ভাবনা করে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক মেনটেইন করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Moinul Hussain arzu ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৯:৪৭ এএম says : 0
    Amader uchit hobe daethoshill abong kotonaytik acheson kora
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ