Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বরাক রাজ্য গঠনের ডাক আসামে

ভূমি ও ভাষার অধিকার নিশ্চিতে আসছে নতুন আইন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বিজেপি-শাসিত ভারতের আসামে বাঙালিদের ভিটেমাটির পাশাপাশি রাজনৈতিক অধিকারও কেড়ে নেয়ার সরকারি চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, অসমিয়া ভাষাকে বাধ্যতাম‚লক করা হবে আসামে। তাদের জোট শরিক অসম গণ পরিষদ (অগপ) শনিবার তাদের পরিষদীয় দলের বৈঠক থেকে দাবি তুলেছে, ‘খিলঞ্জিয়া’ (ভূমিপুত্র)দের জন্য ৯০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করতে হবে। সেইসঙ্গে বিধানসভাতেও খিলঞ্জিয়াদের জন্য সংরক্ষণের দাবি উঠেছে। এই অবস্থায় বাঙালিদের জন্য পৃথক বরাক রাজ্য গঠনের ডাক দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। অন্যদিকে, আসাম রাজ্য নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির (সিআরপিসিসি) সভাপাতি তপোধীর ভট্টাচার্য কার্বি, ডিমাসা প্রভৃতি জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়েই নতুন রাজ্য গঠনের কথা বলেন। অপর এক খবরে বলা হয়, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে আসামে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার নতুন আরেকটি আইন করবে। নতুন এই আইনের অধীনে আসামে শুধু আসামের নাগরিকরাই জমি কিনতে পারবেন। এ রাজ্যের পিডবিøউডি, স্বাস্থ্য ও অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী হিমান্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, এ আইনের মাধ্যমে জাতিগত আসামের নাগরিকদের ভ‚মি ও ভাষার অধিকার নিশ্চিত করা হবে। শনিবার তিনি তাদের দেয়া আগের এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। হিমান্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, নতুন এই আইনটি উত্থাপন করবে রাজ্য সরকার। এর মধ্য দিয়ে আদিবাসীদের জমি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছেই থাকবে তা নিশ্চিত করা হবে। তার ভাষায়, অর্থনৈতিক অথবা অন্য কারণে অন্যত্র চলে যাওয়ার সময় আসামের আদিবাসী জনগণ তাদের জমি পরিত্যক্ত করে ফেলে যান। এমনটা লক্ষ্য করা গেছে বারপেটা ও ধ্রুবরি জেলায়। কিন্তু নতুন আইনে এটা নিশ্চিত করা হবে যে, আদিবাসীরা শুধু আসামের আদিবাসীদের কাছেই তাদের জমি বিক্রি করতে পারবেন। রাজ্যের মন্ত্রীপরিষদের এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো জানান, আসাম বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে এ বিষয়ে বিল উত্থাপন করা হবে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৪৫ নম্বর ধারা সংশোধন করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি অনুরোধ করবে আসাম সরকার। একই সঙ্গে অসমীয়কে রাজ্যের ভাষা ঘোষণা করার দাবি জানাবে। তিনি জানান, এই সংশোধন থেকে বাইরে রাখা হবে বরাক উপত্যকা, বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এরিয়া ডিস্ট্রিক্টস এবং পাহাড়ি জেলাগুলো। অনলাইন জি নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ