পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছেন। তিনি দেশে না আসলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের স্বপ্ন আমরা অর্জন করতে পারতাম না। এখন মোটামুটিভাবে বলা যায়, বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। এজন্য শেখ হাসিনাকে আমি ম্যাজিকওম্যান বলি। তার কারণেই দেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে তিনি সারাবিশ্বে সফল রাষ্ট্রনায়ক। শেখ হাসিনার জন্য আওয়ামী লীগ আজ ধন্য, বাংলাদেশ ধন্য।’- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন এসব কথা বলেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের হাল ধরেন, তখন তা অগোছানো অবস্থায় ছিল। শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। তিনি দেশে ফেরার ফলে আওয়ামী লীগ এক হয়েছে।
আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বারবার আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন। তার কারণেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। এদেশে বিচার ছিল না। যারা বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত খুনি ও রাজাকার- তাদের কোনোদিন বিচার হবে এটা কেউ কল্পনা করেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলংকমুক্ত করেছেন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। কোনো লোকই আইনের ঊর্ধ্বে নয়- শেখ হাসিনা সেটা প্রমাণ করেছেন।
রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা থাকলে রাজাকারের সঠিক তালিকা তৈরি করতে তারা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন। এজন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে এই কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে।
বিএলএফ মুজিব বাহিনীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার আবদুল হাই-এর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব শরিফ উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীরপ্রতিক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ, কে. এম মোজাম্মেল হক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের চেয়ারম্যান মাহমুদ পারভেজ জুয়েল, এম এ করিম, 'আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান' সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, প্রেসিডিয়াম সদস্য লুবনা খান, ঢাকা মহানগর সভাপতি নুরুজ্জামান ভূট্টু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবমবারের মত দলের সভাপতি এবং ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয়বারের মত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানাতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।