নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করাচি টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসেই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। চার সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার সামনে রানের পাহাড় গড়ে তুলেছে স্বাগতিকরা। জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে লঙ্কানদের।
টেস্টের তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেছিলেন দুই ওপেনার আবিদ আলি ও শান মাসুদ। রোববার চতুর্থ দিন তিন অঙ্কের স্বাদ পেয়েছেন তিনে নামা আজহার আলি ও চারে নামা বাবর আজম। তাতেই পাকিস্তানের নাম উঠে গেছে রেকর্ড বইয়ে।
কোনো দলের এক ইনিংসে চার ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি আগেও ২০ বার দেখেছে টেস্ট ক্রিকেটে। এক ইনিংসে ৫ জনের সেঞ্চুরি আছে আরও দুবার। কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটসম্যানেরই সেঞ্চুরি ১৪২ বছরের ইতিহাসে টেস্ট ক্রিকেট আগে দেখেছে কেবল একবারই। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সেটিই ছিল প্রথম টেস্ট। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার দিনেশ কার্তিক ও ওয়াসিম জাফর। পরে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনে নামা রাহুল দ্রাবিড় ও চারে নামা শচিন টেন্ডুলকার।
ইনিংসে ৫ ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির যে দুটি নজির আছে, তার একটি বাংলাদেশের বিপক্ষেই গড়েছিল পাকিস্তান। ২০০১ সালে মুলতানে। সেবার পাকিস্তানের ৬ ব্যাটসম্যান নেমেছিলেন ব্যাটিংয়ে, ৫ জনই করেছিলেন সেঞ্চুরি। সাঈদ আনোয়ার, তৌফিক উমার, ইনজামাম-উল-হক, মোহাম্মদ ইউসুফ ও আব্দুল রাজ্জাক। কেবল তিনে নামা ফয়সাল ইকবাল করতে পারেননি সেঞ্চুরি। প্রথম চার বা পাঁচ ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি তাই হয়নি সেবার।
এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই টেস্ট দিয়ে অবশ্য একটি জায়গায় টেস্ট ইতিহাসেই অনন্য কীর্তি গড়েছে পাকিস্তান। কোনো দলের দ্বিতীয় ইনিংসে চার ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি টেস্ট ক্রিকেট দেখল এই প্রথমবার।
৮০ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই পাক ব্যাটসম্যান শান মাসুদ ও আবিদ আলী। ওপেনিং জুটিতে এ দুইজন সংগ্রহ করেন ২৭৮ রান। শতক হাঁকান দুইজনই। ১৩৫ রান করে লাহিরু কুমারার বলে আউট হন মাসুদ। এরপর আজহার আলী ও আবিদ আলী গড়েন ৭৩ রানের জুটি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকানো আবিদ থামেন ১৭৪ রানে।
সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দুই ওপেনার আউট হলেও থামেনি পাকিস্তানের রানের ফোয়ারা। আজহার আলী ও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাবর আজমও তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১১৮ রান করে আজহার আউট হলেও ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন বাবর। টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয়বার টপঅর্ডারের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। ৩ উইকেটে ৫৫৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ফলে লঙ্কানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২৬ রানের। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এত রান তাড়া করে জয়ের নজির নেই। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২২ রান। এর আগে, প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। লঙ্কান বোলারদের বোলিং তোপে ১৯১ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করে ২৭১ রান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।