বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : গ্রামে হামলা থেকে বেঁচে গেলেও ১০ দিন পর শহরে খুন হয় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ বাহার উদ্দিন সরকার (৪৫)। হামলা-খুন কোন আসামীই ধরছে না পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, থানা পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণে খুন হতে হয়েছে বাহারকে। বাহারের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি থানা। এতে সাহসী হয়ে উঠে ঘাতকরা। তাকে ১০ দিন পর খুন করে ফেলা হয়। পুলিশ এখন খুনের আসামীদের ধরছে না। ঘটনার পরপর একজন আসামী ধরা পড়লেও তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। বাহারের মৃত্যুর পর মিলাদ আয়োজনেও বাধা দেয় পুলিশ। গত ২৫ এপ্রিল নবীনগরের বীরগাঁও গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বাহারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পীরবাড়িবাড়ি এলাকায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বীরগাঁও গ্রামের মামুন মিয়া (২৫)-কে আটক করে। নিহতের স্ত্রী আফরোজা বেগম এ হত্যা ঘটনায় ১০ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা দেন। মামলায় মামুন ছাড়াও আসামী করা হয় বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির আহমেদ (৫০), তার ভাই আল আমিন (৩০), জাহাঙ্গীর (৩৫) ও আলমগীর (৩২), সুমন আহমেদ (২৪), শামিম আহমেদ (২৮), আমজাদ হোসেন (৩৫), রফিক মিয়া (৫০), বিপুল (২৫)সহ অজ্ঞাত আরো জ্জ জনকে। মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার প্রধান আসামী মামুন বাহারকে তার শহরের ফুলবাড়িয়াস্থ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় পাওনা ৮০ হাজার টাকা ফেরত দেবে বলে। পীরবাড়ি এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পর আসামীরা তাকে ছুরিকাঘাত ও গলা কেটে হত্যা করে। বাহারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোরার ১৩টি আঘাত করা হয়। মামলা দায়েরের দেড়মাস পরও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি। পরিবারের অভিযোগ, খুনের রহস্য উদঘাটনে ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত মামুনকেও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা থেকে বিরত থাকে। ঘটনার পরদিনই ১৬৪ ধারায় মামুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয় সে নিজে খুন করেছে বলে।
গ্রামে বিরোধে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে বাহারের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন। গত ফেব্রুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৫ বার বাহারের ওপর হামলা চালানো হয়। হত্যার চেষ্টা করা হয় তাকে। সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল বাহার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জেলা শহরে আসার পথে বাইশমৌজা এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় বাহারের স্ত্রী আফরোজা বেগম নবীনগর থানায় মামলা দিতে গেলে থানা মামলা নেয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।