মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গোটা ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের আগুনে জ্বলছে। রাস্তায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে পুলিশ আক্রমনাত্মক ভূমিকায় রয়েছে। এমন অবস্থায় পুলিশ সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের এক মুসলিম সাংবাদিককে ধরে নিয়ে টেনে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আর এ ঘটনা ঘটেছে লখনৌতে। জানা গেছে, লখনৌতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের হাতে হেনস্থা হলেন ওই সাংবাদিক। সাদা পোশাকে ঢুকে অবান্তর প্রশ্নে জেরা করার পর রেস্তোরাঁ থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার লখনৌয়ের রিপোর্টার ওমর রশিদ ও তার এক বন্ধুকে।
থানায় তাদেরকে টানা দু’ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। ওমর জানিয়েছেন, তাকে থানায় নিয়ে পুলিশ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছে। বলা হয়, ‘টেনে দাড়ি ছিঁড়ে নেব।’ ওমরের বন্ধুকে পেটানো হয় বলেও অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ হেনস্থা করার পর ওমরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ওমর জানিয়েছেন, একটি খবরের জন্য তিনি আর তার বন্ধু গিয়েছিলেন ওই রেস্তোরাঁয়। ওমর তার বন্ধুর মোবাইলের ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করছিলেন তার কাজের জন্য। সেই সময় সাদা পোশাকে তিন-চার জন রেস্তোরাঁয় ঢুকে তাদের টেবিলের কাছে চলে আসে।
এরপরই তারা নানা অবান্তর প্রশ্ন করেন ওমরের বন্ধুকে। তারা ওমর ও তার বন্ধুর কাছে তাদের পরিচয় জানতে চান। কেন তারা রেস্তোরাঁয় বসে আছেন প্রশ্ন করেই দু’জনকে টেনে পুলিশ রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড় করানো একটি জিপে তোলে। ওমর তার পরিচয় জানালেও রেহাই মেলেনি।
ওমরের কথায়, ‘ওরা আমাদের থানায় নিয়ে একটা ঘরে বন্ধ করে রাখে। আমার মোবাইলসহ আর যা কিছু সঙ্গে ছিল, সবই কেড়ে নেয়। আমার বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করে। পুলিশ বলে লখনৌয়ের হিংসার ঘটনার চক্রান্তে নাকি আমরা জড়িত’।
পুলিশ প্রশ্ন করে ‘কাশ্মীরীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ কতটা? ওরাও লখনৌয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল কি না? বার বার বলছিল, আমার বিরুদ্ধে ওদের কাছে নথিপত্র আছে। তারপর আমাকে গালাগাল করে অকথ্য ভাষায়। বলা হয়, টেনে আমার দাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হবে’।
ওই ঘটনার খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে ফোন যায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহের কাছে। ফোন যায় মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েও। তারপরই ওমরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। সূত্র : এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।