মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মালয়েশিয়ায় আয়োজিত ‘কুয়ালালামপুর শীর্ষ সম্মেলন ২০১৯’এ মুসলিম দেশগুলোর সাথে প্রযুক্তি বিনিময় ও ভাগাভাগি করে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের ডক্টর হাসান রুহানি। তিনদিনের এই সম্মেলনে বৃহষ্পতিবার বক্তব্য দেয়ার সময় এই প্রস্তাব দেন তিনি। সম্মেলনে উন্নয়ন, অগ্রাধিকার এবং চ্যালেঞ্জ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে ইসলামী-এশীয় সহযোগিতা এবং শক্তির গুরুত্ব ফুটে উঠেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘এশিয়া মহাদেশের একটি গুরুত্বপ‚র্ণ দেশ হিসাবে ইরান গত চার দশকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু কিছু অর্জন করেছে। বিশেষ করে ন্যানো প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনোলজিসহ নতুন নতুন অনেক গুরুত্বপ‚র্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে ইরানের অর্জিত এইসব সাফল্য এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য ইসলামী দেশের সাথে ভাগ করে নিলে অভ‚তপূর্ব ফলাফল আসতে পারে। বিশেষ করে আমেরিকার একতরফা আধিপত্যবাদের শিকারে জর্জরিত বিশ্বে ইসলামি দেশগুলোর শক্তি ও প্রভাব বহুগুণ বেড়ে যাবে।
সম্মেলনের উন্নয়ন, অগ্রাধিকার এবং চ্যালেঞ্জ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে রুহানি বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সিদ্ধান্ত দৃঢ় সহযোগিতার ওপর নির্ভর করে। মুসলিম দেশগুলোকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’ মুসলিম বিশ্বের উন্নয়নে কাজ করার বহু ক্ষেত্র রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য বিশাল সম্ভার রয়েছে। সেইসব শক্তি সামর্থ মুসলিম বিশ্বের অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক, প্রতিরক্ষা এবং এমনকি পর্যটন খাতের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
ইরান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও পাকিস্তান এই মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বৃহৎ মুসলিম দেশ। প্রতিটি দেশেরই রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা। সুতরাং এই দেশগুলো একে অপরের চাহিদা প‚রণের পাশাপাশি তাদের ক্ষমতা ও অর্জনগুলো ভাগ করে নিলে বিশ্বব্যাপী একটি কার্যকর প্রভাব বিস্তারকারী শক্তিতে পরিণত হতে পারে। মুসলিম বিশ্ব তাহলে বিশ্বে ডলারের একচেটিয়া আধিপত্যসহ বৈজ্ঞানিক বৈষম্যের অবসানে গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারবে।
এই লক্ষ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট কুয়ালালামপুর শীর্ষ সম্মেলনে তিনটি গুরুত্বপ‚র্ণ প্রস্তাব পেশ করেছেন। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে, মুসলিম দেশগুলোর মাঝে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য যৌথ তহবিল গঠন করা। আর্টেফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিসহ সাইবার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে যৌথ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা এবং ডিজিটাল অর্থনীতি ক্ষেত্রে মুসলিম দেশগুলোর যৌথ বাজার প্রতিষ্ঠা করা। এই তিনটি প্রস্তাব কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তারকারী একটি মেরু তৈরি হবে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক, ভাষাগত, ধর্মীয় এবং সভ্যতাগত অভিন্নতা। ফলে এরকম শক্তিশালী একটি মেরু তৈরি হওয়াটা খুবই সহজ।
ডক্টর রুহানির দেয়া প্রস্তাবগুলো কোনো মুসলিম দেশের স্বার্থেরই বিরোধী নয়। এমনকি কোনো মুসলিম দেশের সমাজব্যবস্থার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক নয়। কাজেই ইরানের প্রেসিডেন্টের দেয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলো মুসলিম বিশ্ব ইতিবাচকভাবেই নেবে বলে বিশেষজ্ঞমহল মনে করছে। সূত্র: পার্স টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।