Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরাজদিখানে মাদবরের হাট সংলগ্ন বাঁশের সাঁকোতে পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি

সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:০১ পিএম

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কয়রা মাদবরের হাট সংলগ্ন খালের ওপর পাকা ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকার শিক্ষার্থীসহ ৮টি গ্রামের হাজারো মানুষ। গ্রামবাসী দীর্ঘদিন সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও আজ পর্যন্ত এটি আলোর মুখ দেখেনি। একটি বাঁশের সাঁকো থাকলেও পারাপারের সময় শিশু শিক্ষার্থীসহ বয়স্করা প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপারের ভয়ে স্কুল, মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়। বাতাস হলেই সাঁকোটি দুলতে থাকে। গ্রামে একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলে ও সাঁকো পার হয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়ার সাহস পান না রোগীরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভোটের আগে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও জয়লাভের পর কারও দেখা মেলে না। দোসপাড়া কয়রাখোলা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্না সিদ্দিকি বলেন,বালুচর ইউনিয়নের কয়রাখোলা গ্রাম এবং লতব্দী ইউনিয়নের মাদবরের হাট ব্রিজটি নির্মানের জন্য বিগত ২০০৮ইং সাল থেকে এই এলাকাবাসী জোড় দাবি জানিয়ে আসছে। ২৭,০১,২০০৮ইং স্বারক নং এল.জি.ই.ডি/ উঃ প্রং/ সিরাজ নিকট ব্রিজটি নির্মানের জন্য প্রকল্প তৈরী করে পাঠানো হয়। ১৮ জানুয়ারী ২০১৭ ইং এ দৈনিক মানব কন্ঠে,১৩ মে নিউজ২৪ টিভিতে এবং ৩১ শে মে জেট টিভিতে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। কিন্তু প্রতিবেদন অনুযায়ী মাদবরের হাট সংলগ্ন অবস্থানে ব্রিজটি যাতে না হয় তার জন্য চেস্টা করে যাচ্ছে কিছু সংক্ষক লোক, মাদবরের হাট সংলগ্ন ৫৪ মি: লম্বা ব্রিজটির শিরোনামে দেখা যায় মোল্লাকান্দি বালুচর মাদবরের হাট ভায়া কয়রাখোলা খেয়াঘাট। মাদবরের হাট ভায়া কয়রাখোলা শিরোনামে ব্রিজটি নির্মান করিলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রানের দাবি পূরণ হবে। মাদবরের হাট বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই মাদবরের হাট সংলগ্ন বাশের সেতুতে পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। । কয়রাখোলা মোঃ নূর হােসেন,আব্দুল জব্বার মাদবর বলেন, সেতু পার হতে গিয়ে প্রায়ই শিশু- বৃদ্ধরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। আমরাও বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, সেতুর নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা জরিপও চালিয়েছি। আমরা বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিজ নির্মাণের দাবি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ