Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মুসলিমদের ভাগ্য আর ৫ দেশের হাতে থাকতে পারে না

কে এল সম্মেলনের উদ্বোধনীতে এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বিশ্বের পৌনে ২০০ কোটি মুসলমানের ভাগ্য এখন আর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের হাতে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। গতকাল মালয়েশিয়ায় কেএল সামিট-২০১৯ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় এরদোগান বলেন, বিশ্ব পাঁচের চেয়েও বড়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য ভেটো ক্ষমতা রাখে, ফলে ছোট দেশেগুলোর জন্য বিপত্তি হয়।
‘পৃথিবী পাঁচের চেয়েও বড়’ এই সেøাগান পুনর্ব্যক্ত করে এরদোগান নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী দেশ চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন। এরদোগান আরও বলেন, এসব থেকে নিশ্চুপ রাখতে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা, অর্থনৈতিক সন্ত্রাস ও অপবাদসহ নানা চাপের মুখে তুরস্ক মাথানত করেনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তারা তুরস্কের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছে, আর আমরা পাশাপাশি ফিলিস্তিন, গাজা, রোহিঙ্গা, লিবিয়া, সোমালিয়া এবং সিরিয়ার দিকে মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করেছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কাতারি আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং বৈঠকের আয়োজক দেশ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডা. মাহাথির মোহাম্মদ। এতে কয়েকশ’ সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং মুসলিম বিশ্বের নানা বিভাগের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামভীতি দূরীকরণে কাজ করবে কে এল সম্মেলন : মাহাথির মোহাম্মদ
এর আগে বুধবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, ইসলামভীতি মোকাবেলা এবং মুসলিম বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পথ সন্ধানের উদ্দেশ্যে কুয়ালালামপুরে ইসলামি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যাতে ইরান, তুরস্ক এবং কাতারের নেতারা যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, তিন দিনের এই সম্মেলনটি মুসলিম সহযোগিতা জোরদার করবে এবং ‘সারা বিশ্বে মুসলমানদের জীবন উন্নতির জন্য কিছু করার জন্য’ একটি মঞ্চ হবে।
‘আমরা অনুভব করি যে, আমাদের ইসলামভীতি কাটিয়ে উঠতে হবে। ইসলামের শত্রæদের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করার জন্য অমুসলিমদের উপর আমাদের নির্ভরতা, আমাদের ত্রæটিগুলি সমাধান করার জন্য আমাদের একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে,” -বুধবার এক ডিনার বক্তব্যে বলেন।
তিন প্রতিদ্ব›দ্বী দেশটির নেতাদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে সউদী আরব আপত্তি দিয়েছে। মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, সউদী আরব যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, কারণ তারা বিশ্বাস করে যে, ৫৭ জাতির ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার অধীনে এ জাতীয় সভা হওয়া উচিত। তবে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন যে, সম্মেলনটি ওআইসির প্রতিদ্ব›দ্বী নয়, মুসলিম বৌদ্ধিক আলোচনার জন্য একটি উপায় হতে হবে। পাকিস্তান নেতা ইমরান খানের প্রাথমিকভাবে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও তার সহযোগী সউদী আরবকে আশ্বাস দেওয়ার কারণে এ সপ্তাহেই সরে এসেছেন।
সম্মেলনের ওয়েবসাইটে এক বার্তায় মাহাথির বলেছেন, মুসলিম বিশ্ব অবিরাম যুদ্ধে জর্জরিত হয়েছে এবং দীর্ঘকাল ধরেই ‘সুশাসন, স্থানীয় দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের এক প্রজনন স্থানের সাথে নাম জড়িয়েছে।’ তিনি বলেন যে, মুসলিম দুর্বলতা এবং বিভেদ ইসলাম বিরোধী প্রচারে উৎসাহ যোগিয়েছে।
“ইসলামী সভ্যতা কতটা দুর্দান্ত, সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ছিল তা আমরা সর্বদা প্রতিফলিত করেছি। এটি ইতিহাসের একটি অধ্যায় এবং আমরা তা ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী। এটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এর আকাক্সক্ষা থাকবে’-বলেন তিনি। সূত্র : এপি।



 

Show all comments
  • Melon Khan Robin ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 1
    যদি কেউ না আসে তবে একলা চলোরে
    Total Reply(0) Reply
  • Rajib Mazumder ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 1
    yes leader go ahead allah full fill you
    Total Reply(0) Reply
  • Rajib Chowdhury ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 1
    বদমাইশ সৌদি শাসকদের বলে দাও।তোমাদের কথায় এখন আর মানুষ কান দেয় না।তোমরা পশ্চিমাদের তোমাদের শক্তির উৎস মনে কর।মহান আল্লাহকে নয়।তাই তোমরা যতদিন না শুধরাবে ততদিন সাধারণ মুসলিম তোমাদের ঘৃণা করবে।
    Total Reply(1) Reply
  • Makshud Ur Rahman ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 1
    কিন্তু তোমার পাশে কেউ থাকবে না! সবাই নিজের ক্ষমতা সামলাতেই ব্যাস্ত। বাংলাদেশের সমর্থন ও পাবেন না আপনি।
    Total Reply(0) Reply
  • Makshud Ur Rahman ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 1
    MD Farman সেই পাচঁ জন তারা কি কোনদিন মুসলমানদের রক্ষা করেছে???বরং তারা মুসলমানদের হত্যার জন্য নানান রখম চেস্টা করে চলেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • raihan ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৯:৫১ পিএম says : 0
    “ইসলামী সভ্যতা কতটা দুর্দান্ত, সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ছিল তা আমরা সর্বদা প্রতিফলিত করেছি। এটি ইতিহাসের একটি অধ্যায় এবং আমরা তা ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী। এটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এর আকাক্সক্ষা থাকবে" এই কাজটা যারা সম্পন্ন করতে চাইসে তাদেরকেই জঙ্গি উপাধি দেয়া হইসে।আপ্নি এই কাজ করতে চাইলে আপনাকেও জঙ্গি উপাধি দেয়া হবে।মজার বেপার হল ৫৭ টি মুসলিম দেশের মধ্য ৩০ টা যদি এই জঙ্গি উপাধির বিরুদ্ধে কথা বলতো তাহলে পশ্চিমারা এত সাহস পেতনা মুসলিমদেরকে মারার জন্ন।ওআইসি যদি ন্যাটোর মত একটি সামরিক জট গঠন করত যা মুসলিম দেশগুলোকে সুরক্ষা দিবে তাহলে মুসলিমরা আজ এত লাঞ্ছনার শিকার হতনা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ