ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক রাইহান বাপ্পীকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় প্রেসক্লাব। বুধবার রাতে ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বেলাল হোসাইন বিপ্লব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সাথে এই সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে একটি মহল ক্লাবের ইমেজকেও ক্ষুন্ন করছে বলে জানান ক্লাবে কর্মরত সাংবাদিকরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্যাম্পাস লাইভে প্রকাশিত ‘অর্থ কেলেঙ্কারীতে রাবি প্রেসক্লাবের সভাপতির পদ হারালো বাপ্পী’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি আর্কষিত হয়েছে। মানিক রাইহান বাপ্পীর পদ হারানোর বিষয়ে যে অসত্য ও ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিশ^বিদ্যালয় প্রেসক্লাবে কর্মরত সাংবাদিকেরা।
প্রকাশ থাকে যে, গঠনতন্ত্রের ধারা-১১ এর (ঙ) অনুযায়ী পুরো বছরের যাবতীয় আয় ব্যায়ের হিসেব রাখবেন প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ। প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় বাৎসরিক আয় ব্যায়ের হিসেব পেশ করবেন তিনি।
২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ২৯ তম কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে গঠিত কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর. ২০১৯ তারিখে। কোষাধ্যক্ষের পদাধিকার বলে বর্তমান ২৯ তম কার্যনির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ সালমান শাকিলের কাছে প্রেসক্লাবের এই বছরের যাবতীয় আয় ব্যায়ের হিসেব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রয়েছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের ২৯ তম কার্যনির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা এখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। বার্ষিক সাধারণ সভা ছাড়া আয় ব্যয় এবং আর্থিক কেলেঙ্কারী হওয়ার বিষয় প্রমাণিত হওয়ার সুযোগ নেই।
একই সাথে গঠণতন্ত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ যৌথভাবে প্রেসক্লাবের ব্যাংক একাউন্টটি পরিচালনা করেন। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে যেকোনো দুইজন টাকা উত্তোলন করতে পারবেন সেটি গঠনতন্ত্র স্বীকৃত। নিয়ম মেনেই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। উত্তোলনকৃত টাকার সকল হিসেব প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষের কাছে আছে।
প্রকাশিত সংবাদে কোষাধ্যক্ষ সালমান শাকিলের যে বক্তব্য ব্যবহার করা হয়েছে তার জন্য ক্যাম্পাস লাইভ কর্তৃপক্ষ পরিচয়ে বা ক্যাম্পাস লাইভের কোনো প্রতিনিধি বা সাংবাদিক পরিচয়ে কেউ কথা বলেননি। মনগড়া একটি বক্তব্য সালমান শাকিলের নামে ব্যাবহার করা হয়। মিথ্যা, মনগড়া, বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রকাশিত অসত্য এ সংবাদে প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলে আমরা মনে করি। একই সাথে প্রেসক্লাব সভাপতি একজন সম্মানিত ব্যক্তি তারও সামাজিক মর্যাদার হানি করা হয়েছে এই অসত্য প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
এ বিষয়ে বর্তমান সভাপতি মানিক রাইহান বাপ্পী বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমার সম্মানকে ক্ষুন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে অসত্য, ভিত্তিহীন ও গুজব রটিয়েছে যা মানহানীকর। অতিদ্রæত এ বিষয়ে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।