পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হর্ন ফ্রি জোন ঘোষণার দ্বিতীয় দিনেও কোনো প্রভাব পড়েনি রাজধানীর সচিবালয় এলাকায়। বরং গতকাল চলতি সপ্তাহের সর্বোচ্চ শব্দমান পাওয়া গেছে নতুন ঘোষিত এ নীরব এলাকায়। মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল সকাল থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা থাকলেও লিফলেট বিতরণ ছাড়া আর কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। তবে পরিবেশ অধিদফতর ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ার আগে চালকদের সচেতন হওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন তারা।
এর আগে মঙ্গলবার ঘটা করে রাজধানীর সচিবালয়ের চারপাশে নীরব এলাকা ঘোষণা করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হর্ন বাজালেই হবে জেল জরিমানা। কিন্তু ঘোষণার দ্বিতীয় দিনে সচিবালয় এলাকায় দেখা যায়নি তার কোনো বাস্তবায়ন।
যারবাহন চালকরা বলছেন, হর্ন নিষিদ্ধ করার আগে চালানো হয়নি তেমন কোনো প্রচারণা। তারা বলেন, পথচারী আর রিকশাকে কণ্ট্রোল করতে হবে আগে। এদিকে ঘোষিত নীরব এলাকার শব্দমান যাচাইয়ে সপ্তাহজুড়ে জরিপ চালাচ্ছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ। তাদের তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহে বুধবারই সর্বোচ্চ শব্দমান পাওয়া গেছে সচিবালয় এলাকায়। আগে যেখানে শব্দমান ৫৪ ডেসিবেল ছিল, সেখানে বুধবার আমরা ৬৫ ডেসিবেলের নিচে ১২টা লোকেশনের কোথাও শব্দের মান পাইনি। শব্দের মান নিয়ন্ত্রণে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়নি।
গতকাল বুধবার বেলা ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত এই প্রতিবেদক সচিবালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেন যে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হর্ন বাজানো গাড়ির তালিকায় খোদ সচিবালয়ে আসা সরকারি গাড়ির পাশাপাশি অন্যন্যা পরিবহনও রয়েছে। তবে প্রথম দিন বলে এসব চালকের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ না করে নিষেধাজ্ঞা ও আইনে থাকা শাস্তির বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করছেন ট্রাফিক পুলিশ। এর আগে গত রোববার সচিবালয়কে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়। নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন এলাকার মধ্যে রয়েছে সচিবালয় সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড় ও সচিবালয় লিংক রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট। এই এলাকায় চালকদের কোনও ধরনের হর্ন না বাজানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
সরেজমিনে সচিবালয়ের চারপাশের সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের মতোই অকারণে হর্ন বাজাচ্ছেন চালকরা। প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চালকদের বেশি হর্ন বাজাতে দেখা গেছে। বাস ও অন্যান্য যানবাহনের চালকদের হর্ন বাজানোর প্রবণতাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
সচিবালয় সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে কর্তব্যরত সার্জেন্ট নূর আলম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা আজ (বুধবার) কাউকে জরিমানা বা কারও বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করছি না। যারা হর্ন বাজাচ্ছেন তাদের সতর্ক করছি এবং আইনটি সম্পর্কে অবহিত করছি। পরবর্তীতে চালকরা ছাড় পাবেন না।
ট্্রাফিক পুলিশের কনস্টেল মো. ইয়াহিয়া বলেন, আরে ভাই, সচিবালয়ের চারপাশের সব এলাকা যানবাহনে সরব। রয়েছে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। যে রাস্তায় সকাল থেকে রাত অবধি বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও রিকশাসহ হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে, সে রাস্তা নীরব এলাকা কিংবা হর্নমুক্ত হবে কী করে? কেউ আইন মানে না। এমনকি আইনের লোকেরাও আইন মানে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজধানীর কলাবাগানের বাসিন্দা আসিরুদ্দিন নামে একজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, কারণে-অকারণে হর্ন বাজানো আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। তিনি সচিবালয়ের বাইরের রাস্তায় অনেকটা জায়গাজুড়ে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করা দেখিয়ে বলেন, এরা অবৈধভাবে রাস্তা দখল করায় রাস্তাটি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এখন ব্যস্ততম এ রাস্তায় বাস কিংবা প্রাইভেটকারকে পাশ কাটিয়ে যেতে হলে হর্ন না বাজিয়ে কি উপায় আছে? হর্ন না বাজালে উল্টো দুর্ঘটনা ঘটবে। জানা গেছে, হর্ন বাজানোর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রথমবারের জন্য সংশ্লিষ্ট চালককে অনধিক এক মাস কারাদন্ড বা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। পরবর্তী সময় এ অপরাধে অনধিক ছয় মাস কারাদন্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।