পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সচিবালয়ের মতো গ্রেড ও পদবি পরিবর্তন করা এবং বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি করেন। মানববন্ধনে সংগঠনের মহাসচিব আবু নাসির খান বলেন, সচিবালয়ের ভেতরে ও বাইরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারী বিভিন্ন পদের পদবি ও বেতন স্কেল এক ও অভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও তৎকালীন সরকার ১৯৯৫ সালের প্রজ্ঞাপন জারি করে শুধুমাত্র সচিবালয়ের বর্ণিত পদগুলো আপগ্রেড করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ ১০নং গ্রেডে উন্নীত করে। ফলে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে পদবি ও বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট, গণভবন, বঙ্গভবনে বর্ণিত পদগুলোও আপগ্রেড করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দপ্তরের বর্ণিত পদগুলো অদ্যাবধি পূর্বের মতো রয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে তারা এ পদবি বৈষম্যের অবসান চান। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে সরকার উচ্চমান সহকারী, প্রধান সহকারীর সমস্কেল ও নিম্ন স্কেলের কর্মচারীদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্লক সুপার ভাইজার, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, পুলিশের এসআই, নার্স, অডিটর ও খাদ্য পরিদর্শকসহ পদগুলো ২য় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করেছে। কিন্তু অন্যান্য দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনের সমপদগুলো উন্নীত না করায় দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত তারা বঞ্চিত রয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের উচ্চপদে আসীন হওয়ায় পরবর্তী প্রজন্ম উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এ সময় তিনি দপ্তর ও অধিদপ্তরের পদবি ও বেতন-বৈষম্য নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি কে এম বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রশাসিনক কর্মকর্তা আবদুল হালিম, মো. বেল্লাল হোসেন, লুৎফর রহমান, ফারুক মালুম, রেশমা পারভীন, জাকির হোসেন, বাশারুল হক, নোমান আল আজাদ, শাহাদাত হোসেন, ইসলাম খান, জাহিদুল ইসলাম, আশিকুল ইসলাম, মহসিন মিয়া, মুকলেছুর রহমান, হুমায়ুন কবীর, মামুন, কাবুল হোসেন মোল্লা, মাহতাব উদ্দিন, আনোয়ার জিলানী প্রমুখ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডাক অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, খাদ্য অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ক্রীড়া পরিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, আয়কর বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর, মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, ভূমি সংস্কার বোর্ড, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, জরিপ অধিদপ্তর, নার্সিং ও মিডওয়াফারি অধিদপ্তর, পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রশাসিনক কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।