পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাঙালির সব অর্জন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দু’টি নাম ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা অর্জন।
গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ‘আমাদের মুক্তি আমাদের স্বাধীনতা’ শীর্ষক হাওয়াইয়ান গিটারে ৫০ জন শিল্পীর দেশাত্মকবোধক সঙ্গীতের সিডির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মন্ত্রী একথা বলেন। বাংলাদেশ হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ও গিটারচর্চার পথিকৃৎ মো: হাসানুর রহমান বাচ্চু ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি ও গবেষক আমিনুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৯ সালে ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পরই তখনকার ‘ড্রয়িংরুমভিত্তিক রাজনীতি’ জনগণের কাছে যায় এবং প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ হলেও পরে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
ইতিহাসের দিকে দৃকপাত করে তিনি বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো সংবিধান ছিল না। নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান রচিত হয়। ১৯৫২ সালে আমাদের ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা হলেও প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাভাষা চালু হওয়া, ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ সবই শুরু হয় ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করার পর।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬দফা ঘোষণা করে স্বাধীনতার লক্ষ্যে বাঙালির মনন তৈরি করেছিলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের হয়েই সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগ ধস নামানো বিজয় অর্জন করেছিল। তার প্রেক্ষিতেই অসহযোগ আন্দোলন এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতাসংগ্রাম, স্বাধীনতা ঘোষণা স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। সেকারণেই আজকে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে।
আমাদের এই বাঙালি সংস্কৃতিটা হারিয়ে যেতো। এটি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বিধায় আমাদের সংস্কৃতি আমাদের ভাষা আমরা রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি।
ড. হাছান বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ খাদ্যঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ, মাথাপিছু আয়ে ভারতকেও ছাড়িয়ে, সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানবউন্নয়ন সব সূচকে পাকিস্তানকে অনেক আগেই অতিক্রম করা, করোনার মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বেই এ অর্জন সম্ভবপর হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।