পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ অমিপ্রাজল। রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যাক্সপ্রো কিছুদিন আগেও বিক্রি করছে ৪ টাকায়। বর্তমানে বেড়ে ৭ টাকায় পৌছেছে। রেনাটার দেখাদেখি একই ওষুধ অন্যরাও বিক্রি করছে ৭ টাকায়। অথচ কয়েকদিন আগেও এই ওষুধের দাম ছিল ৪/৫ টাকা। বেড়েছে ডেক্সমেথাসন+সোডিয়াম ফসফেটের দামও। আগে যা প্রতিটি ৫০ পয়সা থেকে এক টাকার মধ্যে ছিল তা এখন কোনো কোনো কম্পানি দুই টাকায় তুলেছে। চোখের ওষুধ ডেক্সামেথাসন+ ক্লোরামফেনিকল (৫ এমএল, ০.১%+ ০.৫%) কোনো কম্পানি দাম রাখছে ৫০ টাকা, আবার কেউ রাখছে ৭০ টাকা।
অ্যান্টিবায়োটিক এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ও সিরাপ উৎপাদন করে শতাধিক ওষুধ কোম্পানি। ট্যাবলেট ও ক্যাপসুলগুলোর কোনোটি ৫০০ মিলিগ্রাম আবার কোনোটি ২৫০ মিলিগ্রাম। গত এক মাসের মধ্যে বেশির ভাগ কম্পানিই গড়ে প্রতি ট্যাবলেটের দাম দুই থেকে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। অবশ্য আগে থেকেও ওষুধের দামে এক কম্পানি থেকে আরেক কম্পানির হেরফের ছিল কিছুটা। যেমন- রেডিয়েন্ট তাদের একোস (৫০০ মিলিগ্রাম) ক্যাপসুলের দাম রেখেছে ৪০ টাকা, অন্যদিকে অপসোনিন একই ওষুধের দাম এতোদিন ৩০ টাকায় বিক্রি করলেও বর্তমানে ৩ টাকা বাড়িয়ে ৩৩ টাকায় বিক্রি করছে।
হাড়ক্ষয় রোধের ওষুধ আইব্যান্ড্রনিক এসিড জেনেরিক। এই ওষুধের ক্ষেত্রেও দামের নৈরাজ্য চলছে সমানে। দেশের ১৮ থেকে ২০টি কম্পানির এই ওষুধ তেরি ও বাজারজাতকরণের অনুমোদন আছে। এর মধ্যে তিনটি কম্পানি ছাড়া বাকিগুলোর সবাই তৈরি করছে ১৫০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট ফরম্যাট। এত দিন এর প্রতিটি ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। তবে হঠাৎ গত এক থেকে দেড় মাসের ভেতর এই ওষুধের দাম দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে গেছে। অপসোনিন ফার্মা লিমিটেডের ‘বনফিক্স’ ব্র্যান্ডের ওষুধটি ৫০০ থেকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ এক হাজার ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। একই জেনেরিকের ‘বন্ড্রোভা’ ব্র্যান্ডের হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধটির দাম বেড়ে ১ হাজার ৯৬০ টাকা, ল্যাবএইড ফার্মার ‘বোনাইড’ এক হাজার ৫০০ টাকায় পৌঁছেছে।
এছাড়া গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যাল ডায়াবেটিসের মেটফরমিন হাইড্রোক্লোরাইড জেনেরিকের ৮৫০ মিলিগ্রামের যে ট্যাবলেট বিক্রি করছে প্রতিটি আড়াই টাকা এবং ৫০০ মিলিগ্রামের দেড় টাকা করে, ওই একই ওষুধ অন্যান্য কম্পানি তিন থেকে পাঁচ টাকা দামে বিক্রি করছে। গত কয়েকমাস থেকে দেশে চলমান পেঁয়াজের লম্ফঝম্ফ কিছুদিন থেকে ওষুধেও শুরু হয়েছে। কেবল উপরিল্লিখিত এসব ওষুধের দামই নয়; অধিকাংশ ওষুধেরই দামই বেড়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই টাকার ট্যাবলেটের দাম এক টাকা বাড়িয়ে তিন টাকা করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে ওষুধের দাম। গত কয়েক মাস থেকে বিভিন্ন কম্পানি তাদের ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে। তবে গত এক মাসের মধ্যে বেশির ভাগ ওষুধ কম্পানিই তাদের বিভিন্ন ধরনের ওষুধের দাম বাড়িয়েছে। কোনো কোনো কম্পানি গত ১ ডিসেম্বর থেকে দাম বাড়িয়েছে। অথচ ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক-কর ছাড়সহ নানা প্রণোদনা দেওয়া হলেও এর সুফল মিলছে না। এসব সুবিধা দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য-ওষুধ উৎপাদনে খরচ কমানো এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। যাদের কথা ভেবে শুল্ক ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তারা অর্থাৎ ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন না। একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওষুধের দাম। ওষুধের দাম বৃদ্ধির জাঁতাকলে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। এমনিতেই দেশে চিকিৎসার পেছনে মানুষের যে টাকা ব্যয় হয় তার অর্ধেকেরও বেশি ব্যয় ওষুধের পেছনে। এরপর আবার নতুন করে ওষুধের দাম বাড়ায় ওই খরচ আরো বাড়বে। ফলে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজি অর্জন করতে হলে অবশ্যই ওষুধের দাম কমাতে হবে। একই সঙ্গে ওষুধের বাজার নিয়ে বছরের পর বছর ধরে নৈরাজ্য চলছে। সরকারকে বিষয়টি আমলে নিতে হবে। পাইকারি ওষুধের বড় বাজার মিটফোর্ডের ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বলেছেন, রোগীদের বেশি প্রযোজন হয় এমন ওষুধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
ওষুধ খাতের উদ্যোক্তারা অবশ্য দাবি করেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ওষুধের দাম কম। কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে ওষুধের দাম বাড়াতে হয়েছে। কেউ বলছে, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কথা। আবার কারো মতে, নতুন বাজেটে ওষুধের ওপর অতিরিক্ত শতকরা ২ টাকা ১৮ পয়সা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপের পর গত জুলাই মাসে ভ্যাট হিসাবায়নের নতুন পদ্ধতির কথা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে কোম্পানিগুলোকে জানানো হয়েছে। এরপরই বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়াতে শুরু করে কোম্পানিগুলো। অবশ্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বলেছে, দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের তেমন কিছু করার নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, দেশে চিকিৎসার পেছনে মানুষের যে টাকা খরচ হয় তার ৫০ শতাংশেরও বেশি হয় ওষুধের পেছনে, যা অন্যান্য দেশে ৩০-৩৫ শতাংশের মধ্যে থাকে। এ অবস্থায় ওষুধের দাম বাড়ানোর ফলে ওই খরচ আরো বাড়বে, আর দুর্ভোগ তো বাড়বেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর আ ব ম ফারুক বলেন, ওষুধের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে একটি মূল্য নির্ধারণ কমিটি গঠন করতে হবে। তারা পর্যালোচনা করে দাম ঠিক করে দেবে। কোম্পানিকে অবশ্যই মুনাফা দিতে হবে। তবে অতিরিক্ত মুনাফা নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা ডা. মোজাহেরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে যেসব অত্যাবশ্যকীয় ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ আছে সেগুলোর সংখ্যা বাড়িয়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সূত্র মতে, স্বল্পোন্নত দেশের অন্তর্ভুক্ত বলে বাংলাদেশ প্রথমে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে কোনো পেটেন্টপ্রাপ্ত ওষুধ জেনেরিক ফর্মে উৎপাদন করার সুযোগ পেয়েছিল। পরে ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর জেনেভার ট্রেড রিলেটেড অ্যাসপেক্ট অব ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস (ট্রিপস) কাউন্সিলের এক বৈঠকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্ব ছাড় দেয়। যা ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের জন্য একটি আর্শীবাদ। ২০০১ সালের নভেম্বরে দোহায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মন্ত্রীপর্যায়ের এক সম্মেলনে ট্রিপস চুক্তি এবং ওষুধের সহজলভ্যতার প্রশ্নে এক ঘোষণা দেয়া হয়। উন্নয়নশীল দেশের মানুষ যাতে সস্তায় ওষুধ কিনতে পারে এবং উপকৃত হয় সেই বিবেচনায় এই সুবিধা দেয়া হলেও ভোক্তারা এই সুবিধা পাচ্ছেনা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যান্সার প্রতিরোধক, ইনসুলিনসহ বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় দুই হাজারের বেশি কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক-কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কিছু কাঁচামালে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত এবং কিছু কাঁচামালে শুল্ক কমানো হয়েছে। কিছু কাঁচামালের দাম বেড়েছে সত্য, তবে বাজারে ওষুধের দাম বেড়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি হারে।
জানা যায়, কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের সুবিধা পাওয়া সত্তে¡ও বেশিরভাগ ওষুধের গত পাঁচ বছরে দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। কোনো ওষুধের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়েছে এর চেয়ে অনেক কম হারে। ইনসুলিন উৎপাদন উৎসাহিত করতে সব উপকরণে আমদানিতে শূন্য শুল্ক করা হলেও এর দাম কমেনি, বরং বেড়েছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৪ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১১৭টি মলিকুলার বা কাঁচামালে উৎপাদিত ওষুধের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে তাদের। ওই সময় দেশে উৎপাদিত ওষুধের মলিকুলারের সংখ্যাই ছিল ১১৭টি। গত ২৫ বছরে মলিকুলারের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪০০টির মতো হলেও পুরনো তালিকা হালনাগাদ হয়নি। এখন দেশে ওষুধ উৎপাদনে যত মলিকুলার ব্যবহার হয়, তার মাত্র আট শতাংশ থেকে উৎপাদিত ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে অধিদপ্তর। বাকিগুলোর দাম নির্ধারণ করে কোম্পানিগুলো। নতুন দাম নির্ধারণ করে কোম্পানিগুলো অধিদপ্তরকে অবহিত করে। ফলে দেশের প্রায় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ওষুধের বাজারে মূল্য দেখভালে কার্যত কোনো উদ্যোগ নেই সরকারের।
হঠাৎ করে বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) রুহুল আমিন বলেন, অনেকে মনে করেন যে, ওষুধ প্রশাসন সব ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করে। এটা ঠিক নয়। ১৯৯৪ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১১৭টি মলিকুলারে (কাঁচামাল) উৎপাদিত অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দর নির্ধারণের এখতিয়ার অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়েছে। এরপর মলিকুলার বেড়ে কম-বেশি ১৪০০ হয়েছে। কিন্তু ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর শুধু ওই ১১৭টির দরই নির্ধারণ করতে পারে। বাকি সব মলিকুলারে উৎপাদিত ওষুধের দর কোম্পানিগুলো নিজেরাই নির্ধারণ করে অধিদপ্তরকে শুধু অবহিত করে। আমাদের নির্ধারণ করা ১১৭টির ওষুধগুলোর দাম নির্ধারিত দরের চেয়ে বাড়াতে পারে না।
দেশের প্রথম ওষুধনীতি প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান বাদ দিয়ে ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ ক্যাসিনো তো সবাই খেলতে যায় না কিংবা জোর করেও কাউকে দিয়ে খেলানো হয় না। কিন্তু অসুস্থ হলে মানুষ ওষুধ সেবন না করে পারে না। সেই জীবনরক্ষাকারী ওষুধ নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলছে, তারা অবশ্যই অপরাধী এবং তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গ্যাস্ট্রিক উপশমে ব্যবহৃত ওমিপ্রাজল গ্রুপের একটি ওষুধ উৎপাদনে ৬০ পয়সা ব্যয় হয়। কিন্তু এটি ৫ টাকায় বিক্রি করা হয়। সব ওষুধই উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। ওষুধের বাজার নিয়ে বছরের পর বছর ধরে নৈরাজ্য চলছে। সরকারকে বিষয়টি আমলে নিতে হবে।
ওষুধ শিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এসএম শফিউজ্জামান বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ওষুধের দাম কম। তা ছাড়া ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে আগের তুলনায় ওষুধ উৎপাদনে বেশি ব্যয় হচ্ছে। ওই ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে ডলারের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। ডলারের বর্ধিত মূল্য দিয়েই কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। ফলে ওষুধের মূল্য না বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।