মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ বলেছেন, বিভিন্ন জাতিগত বিদ্রোহীদের সাথে লড়াইয়ের কারণে মিয়ানমারের বিমান বাহিনী অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে এবং এই অভিজ্ঞতা তাদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিপক্ষের মোকাবেলায় সাহায্য করবে।
রোববার মান্ডালে অঞ্চলের মেইকটিলা এলাকায় বিমান বাহিনীর পাইলট প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে বাহিনীর ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইংসহ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে বাহিনীর বহরে দশটি এয়ারক্রাফট যুক্ত করা হয়। এর মধ্যে দুটি জেএফ-১৭বি বহুমুখী কমব্যাট বিমান, ছয়টি ইয়াক-৩০ হালকা জঙ্গি বিমান ও দুটো এমআই-৩৫পি অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর তথ্য মতে, উ থিন সিনের প্রশাসনের সময় থেকে বিমান বাহিনীর বহরে মোট ৯৬টি বিমান ও কপ্টার যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৯টি বিভিন্ন ধরনের বিমান, এবং পাঁচ ধরনের ১৭টি হেলিকপ্টার রয়েছে।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাউ মিন তুন থাইল্যান্ড, লাওস ও বাংলাদেশের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “আমরা ভারত আর চীনের সাথে প্রতিযোগিতায় পারবো না, কিন্তু অন্য তিন প্রতিবেশীর সাথে আমরা প্রতিযোগিতা করতে পারবো”।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন যে, এই দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র মিয়ানমারের বিমান বাহিনীরই লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং স্থলসেনার সাথে সহায়তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ১৯৪৮ সালে দেশের স্বাধীনতার পর থেকেই জাতিগত সশস্ত্র গ্রæপগুলোর সাথে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, “সামরিক অভিজ্ঞতা অম‚ল্য সম্পদ, কারণ চাইলেই আপনি এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন না। আমরা আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে আধুনিক বিমান বাহিনীর উপযোগী এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এবং আমাদের দেশের আকাশসীমা রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করেছি”।
তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি যে, বিমান সহায়তা আধুনিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এবং হুমকির বিষয়টা আকাশপথেই এখন বেশি আসে”।
জেএফ-১৭বি বহুমুখী জঙ্গি বিমানটি যৌথভাবে তৈরি করেছে চীন ও পাকিস্তান। আকাশে মহড়ায়, স্থল হামলায় এবং বিমান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরির জন্য এই বিমান ব্যবহার করা যায়। সেই সাথে রয়েছে রাশিয়ায় তৈরি ইয়াক-১৩০ যেগুলো প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হয়। সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক থাইনিঙ্গা ইন্সটিটিউটের উ থিন তুন ও এ তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, এমআই-৩৫ দিয়ে স্থল বাহিনীকে সহায়তা করা যায় এবং এর প্রধান সুবিধা হলো রাত্রিকালিন অভিযানেও এই বিমান ব্যবহার করা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।