Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অমিত শাহ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের মতো বক্তব্য দিয়েছেন- গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:১১ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের মতো বক্তব্য দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ যেসব কথা বিএনপির বিরুদ্ধে বলে তিনি সেসব কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন বিএনপির আমলে এদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। বিএনপির এই নেতা অমিত শাহকে বাংলাদেশে এসে জরিপ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জরিপ করলে দেখবেন হিন্দুদের সম্পত্তির ৯০ শতাংশ দখল করেছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বেলন, আওয়ামী লীগ যে ভাষায় বাংলাদেশে কথা বলে সেই ভাষায় যদি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলে তাহলে কাকে আমরা বন্ধু ভাববো? কাকে শত্রু ভাববো? আমরা ভারতকে শত্রু ভাবি না। কিন্তু তাদের কথাবার্তায় মনে হয় তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে। বাংলাদেশে শান্তি, অগ্রগতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক তা কখনো তারা চায় না। সুতরাং আমাদের বোঝাপড়ার ব্যাপার আছে। চুপ করে থাকলে হবে না। কারণ আমরা মনে করতাম ৭১ সালে ভারত আমাদের সহযোগিতা করছে। কিন্তু এখন মনে হয় তারা ভাবে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত বিনিয়োগ করেছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারতের এনআরসি নিয়ে সারাভারত উত্তপ্ত কিন্তু আমরা চুপচাপ। এনআরসি বাস্তবায়ন করতে পারলে আক্রমণ হবে বাংলাদেশের ওপর। যাদেরকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে চায়না তাদেরকে বলবে বাংলাদেশী। সুতরাং এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও সরকারের মন্ত্রীরা যে বুলি আওরাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারও সেই একই কথা বলছেন।

তিনি বলেন, সব বিষয় আভ্যন্তরীণ হয় না। কোন দেশের সিদ্ধান্ত যদি অপর দেশকে আঘাত করে, স্বার্থহানী করে, জাতীয় স্বার্থকে আঘাত করে। তখন সেটিকে আভ্যন্তরীণ ব্যপার বলে ধামাচাপা দেয়ার কোন সুযোগ থাকে না। ভারতেই এনআরসির বিরুদ্ধে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আন্দোলন করছে। বাংলাদেশেও প্রতিবাদ করতে হয়। কিন্তু হচ্ছে না।

রাজাকারের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকায় আওয়ামী লীগেরই ৮ হাজারের বেশি নেতাকর্মী রয়েছে। শেখ মুজিবের ফুঁফাতো ভাই রাজাকারের তালিকায় রয়েছে, শেখ মুজিবের চাচা, ৪৩জন এমপি যারা পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেছিল তারা রয়েছেন।রাজাকারের তালিকা যদি ঠিক মতো দেখা যায় তাহলে দেখবেন সবচেয়ে বেশি রাজাকার গোপালগঞ্জে এবং পারিবারিকভাবে দেখলে সবচেয়ে বেশি রাজাকার শেখ মুজিবের বংশে। এতো চেষ্টা করেও কিন্তু জিয়াউর রহমানের পরিবারের কারো নাম রাজাকারের তালিকায় আসেনি।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক খান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ