পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। গতকাল বিজয় দিবসে আরো এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ়তার মধ্য দিয়েই জাতি স্মরণ করেছে বীর শহীদদের। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন সর্বত্রই ছিল মানুষের মধ্যে বিজয় দিবসের উৎসবের আমেজ। ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই দিনে এসেছিল আমাদের আকাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয় নতুন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশিদের এনে দেয় আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। সবশ্রেণী পেশার মানুষের কাছে গতকালের দিনটি ছিল কবিতার ‘আজ আমাদের খুশির দিন’ এর মতোই।
মুক্তিযুদ্ধে যারা স্বজন হারিয়েছেন, তারাও হারানো বেদনার মধ্যেই আনন্দে-উদ্বেল হন। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বাংলাদেশিরা বীরের জাতি। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা এনেছেন জাতি তাদের স্মরণ করে নানাভাবে। কেউ বেদিতে ফুল দিয়ে, কেউ বাসায়-মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত করে, কেউ দর্শনীয় স্পটে ঘুরে, কেউ স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত বেদিতে ফুল দিয়ে সময় কাটিয়ে শহীদের স্মরণ করেন। তবে সবার মধ্যে ছিল এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে আসা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আরো এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ কাটিয়ে দেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি মানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসনের দিকে জোড় দিতে হবে। তবে সব দলের নেতাই দেশের আরো উন্নতি, নতুন প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য ভূমি এবং তরুণদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিজয় দিবসে সব পথ মিশে গিয়েছিল সভার স্মৃতিসৌধের দিকে। যাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এসেছে; সেইসব শহীদদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে দিনের প্রথম প্রহরে জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতঃপর হাজারো রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সমাজসেবি, কূটনৈতিকসহ বিশিষ্টজনেরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপরই স্মৃতিসৌধের মূল ফটক সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এ সময় শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান লাখো মানুষ। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিলেটসহ বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা শহর সর্বত্রই ছিল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার একই দৃশ্য। শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানায় আমজনতা।
এবারের বিজয় দিবস যেন দীর্ঘ এক সকাল নিয়ে এসেছিল। আগের সন্ধ্যের পর যান্ত্রিক ঢাকা শহরে যেন রাত নামেনি। লাল-সবুজের স্বাধীন স্পর্ধায় মলিন ছিলো রাতের আঁধার। রাজধানী ঢাকার প্রত্যেকটি আকাশচুম্বী ভবন হয়ে উঠেছিলো এক একটি লাল সবুজের বাংলাদেশ। আলোকসজ্জার প্রতিফলন যেন শিশির ঘেরা তিমির বিদায়ী বিজয়ী ভোরের আলো হয়ে নামে রাজধানী ঢাকার অলিগলির পরতে পরতে। শীতের সকালের সোনা রোদ যখন চিকচিক করতে থাকে নাগরিক দালানের কার্নিশে কার্নিশে, তখন রাজপথ যেন পরিণত হয়ে যায় বিজয়ের মিছিলে।
১৭ কোটি বাংলাদেশির জন্য এই দিন সত্যিই আনন্দের ও উদযাপনের। সেই সঙ্গে দেশপ্রেমী হৃদয়ে ৯ মাসে প্রাণ দেয়া স্বাধীনতাকামী লড়াকু আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার দিন। বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড ময়দানে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ছিল সত্যিই উপভোগ্য। সারা দেশের শত শত স্পটে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, আলোচনা সভায় ছিল দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়।
বিজয় দিবসে ঢাকা শহরের প্রত্যেক সরকারি দফতর এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। বাদ যায়নি বিপণিবিতানসহ আবাসিক দালানগুলোও। সেইসঙ্গে নগরীর সব ধরণের পরিবহনে উড়তে দেখা গেছে লাল সবুজের নিশান। এমনকি রিকশায় জাতীয় পতাকা টানিয়ে অনেক রিকশাচালককে বিজয়ের গান গাইতে গাইতে রিকশা চালাতে দেখা যায় ঢাকার রাজপথে।
সারাদেশে কর্মরত ইনকিলাবের সাংবাদিকরা জানান, দলমত নির্বিশেষে দিনটি পালন করেছে মানুষ।
রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহী মহানগরীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী নির্বাহী সদস্য, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন এবং বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ কুচাকাওয়াজের। এ সময় জেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট ও গালর্স গাইডসহ বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহন করে।
সিটি কর্পোরেশন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলো আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতির আয়োজন করে।
যশোর ব্যুরো : যশোরে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। ভোর ৬টায় ৩১ বার বিজয়ের তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে মূল কার্যক্রম শুরু হয়। তারপর স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা, পুষ্পমাল্য অর্পণ,মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সংবর্ধনা, সমাবেশ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন হয়।
বরিশাল ব্যুরো : দিবসের প্রথম প্রহরে জেলার প্রশাসনিক ভবনের সামনে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় বরিশালে। সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় কমিশনার ইয়ামিন চৌধুরী। এ সময় পুলিশ, আর্মড পুলিশ, আনসার, বিএনসিসি, বয়স্কাউট এবং শিশু-কিশোর সংগঠনের অভিবাদন গ্রহন করেন কমিশনার।
বরুড়া (কুমিল্লা): ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ শুচনা করা হয়। সূর্যদয়ের সাথে সাথে উপজেলা নিবাহী অফিসার আনিসুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ ) : দিবসটি উপলক্ষে সোমবার আলোচনা সভা, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সোহাগ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) :মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউএনও আনোয়ার পারভেজের সভাপতিত্বে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বোদা (পঞ্চগড়) : সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। বোদা সরকারি পাথরাজ কলেজ মাঠে পুলিশ, আনসার সহ বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ এর অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর : সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চাঁদপুরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য অঙ্গীকার পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। সেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) : অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের সাফল্য এখন সারা বিশ্বে মর্যাদার আসন করে নিয়েছে। গতকাল ১৬ ডিসেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় স্থানীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কুজকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) : উপজেলা প্রশাসন কতৃক আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ৩১ বার তোপধ্বনি, মুক্তিযুদ্ধ স্মতিস্তম্বে পুষ্পস্তাবক অর্পন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র্যালি, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বিতরণ আলোচনা সভা।
ধামরাই (ঢাকা) : ধামরাই সরকারি হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কালেজ মাঠে কর্মসূচির মধ্যছিল কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, শিশুকিশোর সমাবেশ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা। এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সামিউল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমদ।
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) : ৩১বার তোপধ্বনীর পর ফরিদগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান পুস্পমাল্য অর্পন করেন।
ফরিদপুর: নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে ফরিদপুরে মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে সোমবার ভোরে সুর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনি ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর সকাল সাড়ে ৮ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্মৃতিস্তম্ভে হতে একটি রালী বের হয়ে শহরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে গনকবরে পুস্প্যমাল্য অর্পন করে র্যালীটি শেষ হয়।
ফেনী: ফেনী পৌর চত্বর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির নেতৃত্বে শহরে এক বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি বের করা হয়।
স্টাফ রির্পোটার গাইবান্ধা: সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা হেড কোয়াটার বোনারপাড়া শহীদ মিনারে ও বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি এবং পৌরপার্কের বিজয় স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গি্িন ।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : সূর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যেদিয়ে দিবসটি শুরু হয়। পরে শহীদ স্মৃতি চত্বরে জাতীয় সংসদ সদস্যের পক্ষে উপজেলা জাতীয়পার্টির সিনিয়র সহ সভাপতি নূরুল ইসলাম সুরুজ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুৃদ হাসান সুমন নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধে শহীদদের প্রতিশ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : বিজয় দিবসের ১ম প্রহরে রাত ১২.০১ মিনিটে সকল শহিদদের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কলাপাড়া প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, রিপোর্টার্স ক্লাব ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠন।
কালকিনি (মাদারীপুর) : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার একমাত্র মাদক বিরোধী সংগঠন ‘কয়ারিয়া ইউনিটি ইজ দ্যা পাওয়ারের উদ্যোগে ৫শতাধিক দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ : ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কমলগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, উপজেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ক্রীড়া সংগঠন পুষ্পার্পণ করে দিবসের কর্মসূচির শুরু হয়।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : উপজেলা পরিষদ মাঠে সকালে বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
কুড়িগ্রাম ঃ স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভ, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক ও মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পন করেন জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন।
লক্ষীপুর : ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় চত্বর স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন লক্ষীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল ।
মাদারীপুর : মাদারীপুর ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি নামফলক’-এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ।
মধুখালী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের মধুখালীতে উজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবধর্না প্রদান করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে : দিবসটি পালন উপলক্ষে সোমবার ভোরে শহরের নোমানী ময়দানস্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয় ।
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) : মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সোমবার সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মালেক।
মংলা : ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের সূচনা করা হয়। এর পরপর সকাল সাড়ে ৬টা থেকে মংলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) : নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামীলীগ, বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ, সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক ভাবে কর্মসূচী পালন করে।
নেত্রকোনা: সুর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু।
নীলফামারী : সূর্যোদয়ের সাথে ৩১বার তোপধ্বনী মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনার পর শহরের স্বাধীনতা অ¤øান স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চেীধুরী।
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) : উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৌর স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ, ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎযাপন উপলক্ষে ফুলবাড়ী সরকারী কলেজ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল সাড়ে ৬টায় ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সোমবার সকাল থেকে নানা আয়োজনে উপজেলার সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে বিজয় দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেনবাগ (নোয়াখালী) : উপজেলা গনমিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সমাজসেবা অফিসার নুসরুল্লাহ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধণা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালী-২ আসনের স্থানীয় এমপি আলহাজ মোরশেদ আলম।
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ): দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে সোমবার ভোরে রাজদিয়া অভয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মীনারে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাথী সমাজকল্যান সংস্থাসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাকের পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক-পৃথক কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিতাস(কুমিল্লা) : সকাল ৬:৩০ মিনিটে স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন করে এবং পতাকা উত্তলন ও কুচকাওয়াজে শেষে অলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
টঙ্গী : মহানগরীর টঙ্গীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ, পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ, সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজ, সাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল এন্ড কলেজ, টঙ্গী সরকারি কলেজসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।