পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বীর চট্টলায় ব্যাপক অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। একুশবার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। ভ‚মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজ নিজ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা উত্তোলন করে। সরকারি ভবনেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রধান রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ বাহিনীর উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি পালন করে। পুরো নগরীতে ছিলো উৎসবের আমেজ।
সিটি মেয়র
বিজয় দিবসে প্রতিবছরের মতো চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ বাকলিয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সালাম গ্রহণ করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, কাউন্সিলর মো. সেলিম উল্লাহ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া। ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে কুচকাওয়াজ উদ্বোধন করেন মেয়র। কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লের বিচারক ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন। মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ সাহসী পরিচালনায় দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। এ লক্ষ্য পূরণে সব নাগরিককে দেশপ্রেম নিয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে। এর আগে সকালে আন্দরকিল্লায় নগরভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ
বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। সেখানে জাতীয় ধ্বনি, দেশের গান, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, সশস্ত্র সালাম, পায়রা ওড়ানো, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বাংলাদেশের থিমে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে উপভোগ করেন হাজারো মানুষ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। প্যারেড পরিচালনা করেন জেলা পুলিশ লাইনের আইআর অব পুলিশ মো. মহসিন।
বিজয় র্যালী
শিক্ষা উপমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে বের হয় বিজয় র্যালি। জাতীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় চার নেতা ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছবি ছিল র্যালির অগ্রভাগে। সুসজ্জিত বাদক দল, শিল্প পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান র্যালিতে অংশ নেয়। আউটার স্টেডিয়ামের মেলা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে র্যালীটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জামেয়া আহমদিয়া ও ছিপাতলী মাদরাসা
মহান বিজয় দিবসে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমানের সভাপতিত্বে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতীব মুক্তিযোদ্ধা সৈয়্যদ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা ড. মুহাম্মদ লিয়াকত আলী, মাওলানা কাজী মুহাম্মদ ছালেকুর রহমান আলকাদেরী, মনোয়ার হোসাইন চৌধুরী, মাওলানা মুহাম্মদ মনজুর রশিদ চৌধুরী। ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মূঈনীয়া কামিল মাদরাসার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা আনজুমানে কাদেরিয়া চিশতীয়া আজিজিয়ার সভাপতি দরবারে কাদেরীয়া চিশতীয়া আজিজিয়ার সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত আল্লামা অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুল অদুদ আল-কাদেরী, আল্লামা একেএম ইউসুফ, মাওলানা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মুফতী আবদুল মোস্তফা রেজভী, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুন নবী, অধ্যাপক আলী আজগর, অধ্যাপক মাহফুজুল হক প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন। পরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাৎ বরণকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।