পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহান বিজয় দিবসে প্যারেড গ্রাউন্ডে সম্মিলিত কুচকাওয়াজ প্রদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ প্রদর্শনী দেখেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের বিজয় দিবসের কর্মসূচি। জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকাররে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত¡াবধান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
কুচকাওয়াজের শুরুতেই প্রেসিডেন্ট সালাম গ্রহণ করেন। পরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যারেড গ্রাউন্ডে বিভিন্ন বাহিনীর প্রদর্শনী দেখেন। এর আগে সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে জাতীয় প্যারেন্ড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত উপস্থিত ছিলেন। তার কিছুক্ষণ আগে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আসেন প্রধানমন্ত্রী।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করার প্রেরণা পাবে, সেই প্রত্যাশায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে সব কন্টিনজেন্ট প্যারেড ময়দানে প্রবেশ করে। এরপর জাতীয় পতাকাবাহী দল কুচকাওয়াজে যোগদান করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত হন। পরে প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের কিছুক্ষণ পর প্রেসিডেন্ট উপস্থিত হন।
প্রতি বছর বিজয় দিবসে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড ময়দানে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিএনসিসি, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপি, কোস্ট গার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে অংশ নেন। প্যারেড গ্রাউন্ডে এসেই অভিবাদন মঞ্চে যান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিভিআইপি গ্যালারিতে নিজের আসন গ্রহণ করেন। এরপর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টত কর্তৃক সালাম গ্রহণ এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে পদাতিক বহরের কুচকাওয়াজ, আর্মি এভিয়েশন, নেভাল এভিয়েশন এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ট্রাইপাস্ট, মর্ডানাইজড ইন কান্ট্রি কন্টিনজেন্টের অভিবাদন, ওয়ার ডগ এবং অশ্বারোহী দলের অভিবাদন। প্যারাটুপার দলের অবতরণ ও অভিবাদন, যান্ত্রিক বছরের কুচকাওয়াজ, বিমানবাহিনীর ফ্লাইপাস্ট, বিমানবাহিনীর অ্যারোম্যাটি ডিসপ্লে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যান্ট কন্টিনজেন্টের কুচকাওয়াজ, সম্মিলিত বাদক দলের কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়।
এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক প্রেসিডেন্টকে সম্মান জানিয়ে গার্ড অব অনার করা হয়। এরপর খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। প্যারেড পরিদর্শন শেষে প্রেসিডেন্ট পুনরায় অভিবাদন মঞ্চে অবস্থান করলে শুরু হয় মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ। অভিবাদন মঞ্চ থেকে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন আবদুল হামিদ। প্যারেড গ্রাউন্ডে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের পাশাপাশি প্যারেড গ্রাউন্ডের আকাশ থেকেও প্রেসিডেন্টকে সালাম দেওয়া হয়। প্যারেড গ্রাউন্ডের আকাশে আর্মি অ্যাভিয়েশন, নেভাল অ্যাভিয়েশন ও র্যাব অ্যাভিয়েশনের মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট এবং আকাশ থেকে পতাকা নিয়ে ফ্রিফল জাম্প দিয়ে প্যারেড গ্রাউন্ডে অবতরণ করেন প্যারা কমান্ডোরা। কুচকাওয়াজে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল বিমানবাহিনীর প্রদর্শনী। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী যান্ত্রিক বহরে সমরাস্ত্রের পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর। ঘোষণা মঞ্চ বিভিন্ন উন্নয়ন পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও চ্যানেলে সরাসরি স¤প্রচার করা হয়। বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারসহ প্যারেড গ্রাউন্ডে আসার পথে সড়কলোতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বিজয় দিবসের চেতনা সম্বলিত ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়। কুচকাওয়াজ শেষে প্রেসিডেন্ট প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সব কন্টিনজেন্ট কমান্ডারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্যারেড অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. আকবর হোসেন ও উপ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।