পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের রচয়িতা ভাষাসৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার সব জায়গায় রয়েছে। আওয়ামী লীগেও রাজাকার রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পাশেও অনেক রাজাকার আছেন। আগে তাদের তালিকা করা দরকার। অবশ্য আমি তাদের নাম বললে আগামীতে আমার দেশে ফেরাও বন্ধ হয়ে যাবে। গতকাল রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে স¤প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স¤প্রীতি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে বিজয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাকশাল থাকলে ভালো হতো। বাকশাল করার তিন মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এটি যাচাইয়ের সুযোগ পাননি। বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে বর্তমানের হত্যা-সন্ত্রাস হতো না। পুঁজিবাদি মাথাচাড়া নিয়ে উঠত না।
আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে জামায়াতের অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। তারা সরকারের বড় বড় পদে রয়েছেন। তাদের কথা বললে হয়তো আমাকে আর দেশে আসতে দেওয়া হবে না। রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করার আগে এসব অনুপ্রবেশকারী রাজাকারের তালিকা প্রকাশের প্রয়োজন ছিল। জানি না কোনো রাজাকারের হাত দিয়েই ‘রাজাকারের তালিকা’ হচ্ছে কি-না। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনাকে তারা সরিয়ে দিতে পারলে তাসের ঘরের মতো আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসের সঙ্গে সা¤প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন।
’৭১-এর ঘাতকদের বিচার করছেন যা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো পারতেন না। কারণ বঙ্গবন্ধু কোমল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। জেনে খুশি হয়েছি যে, রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সন্দেহ হয়, এই রাজাকারের তালিকা করার দায়িত্ব আবার কোনো রাজাকারের ছিল কি-না। তবে রাজাকার যে শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে, আমি প্রমাণসহ বলতে পারি। আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ একজনের ওপর নির্ভর করে চলছে। প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়া হলে আওয়ামী লীগ তাসের ঘরের মতো শেষ হয়ে যাবে। তাকে বারবার হত্যা করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে এ দেশ আফগান হয়ে যাবে।
তারেক জিয়ার প্রসঙ্গ তুলে গাফফার চৌধুরী বলেন, লন্ডনে তারেক জিয়ার কত টাকা রয়েছে আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি নাইট ক্লাবে যান, বড় বড় মার্কেটে ঘুরে বেড়ান, সেখানে তার বড় প্রভাব রয়েছে। তিনি স্বপ্ন দেখেন, খালেদা মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী (ডা. জোবাইদা) এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তবে তার স্ত্রী ভালো মানুষ, অনেক কষ্টে তার সংসার করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। আওয়ামী লীগের চতুর্থ ফেস ছিল বাকশাল। তার খারাপ-ভালো নির্ণয়ের সুযোগ দেয়নি খুনিরা। তবে বাকশাল থাকলে এমন অবস্থা তৈরি হতো না। দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করার সাহস হতো না কারও। এখন আওয়ামী লীগের পঞ্চম ফেস চলছে।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের কঠোর সমালোচনা করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ড. কামালের মতো মানুষেরা বিপদের সময় দেশের বাইরে পালিয়ে যান। খুনি রাজাকারদের শহীদ উল্লেখ করে সংবাদ প্রচার হয়। তারা কোথায় শহীদ হয়েছেন?
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, কাদের মোল্লা একজন আত্মস্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী। যার আদালতের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির রায় হয়েছে, রায় কার্যকরও হয়েছে। একটি পত্রিকার কাগজ তাকে শহীদ বলেছে। তাদের কথা বলার ভাষা আমার নেই। এটি বললে মুখের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ওর মতো একটা রাজাকার, কুলাঙ্গার, জল্লাদ, কসাই তার জন্ম কী, আমরা জানি না। যার জন্মের ইতিহাস নেই, একটা খুনি, ধর্ষণকারী, বাঙালি হত্যাকারী, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী, আমার মা বোনের হত্যাকারী, তার কথা বলার আর কিছু নেই। তিনি আরো বলেন, এখন সবার প্রশ্ন হচ্ছে, তার বিচার কি হবে? হ্যাঁ, তার বিচার শুরু হয়ে গেছে। সবাই কথা বললে হবে না, কাজ করতে হবে। ‘সংগ্রাম পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে’ জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ পত্রিকার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় নেবে। যেন বাংলাদেশে এ ধরনের ধৃষ্টতা কেউ দেখাতে না পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ‘স¤প্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীয‚ষ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুর রহমান, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন হাবিব, সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।