নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিপিএলে বিতর্ক সঙ্গী হওয়া নতুন কিছু নয়। যার মধ্যে অন্যতম বাজে স¤প্রচার, ধারাভাষ্য, উপস্থাপনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নানাভাবে বিতর্ক যোগ হলেও মাঠের ক্রিকেট শুরুর পর অন্তত স¤প্রচার ও ধারাভাষ্য নিয়ে কমেছে অভিযোগ। কিন্তু এবার শুরুর ম্যাচেই জন্ম নেয় পুরোনো এক কলঙ্কের বিতর্ক, সিলেট থান্ডার পেসার ক্রিশমার সান্টোকির দেওয়া ‘নো বল’।
এই নো বল ইস্যুতে শুরু থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছে বিসিবি। আগের দিন ‘অভ্যান্তরীন ইস্যু’ বলে দায়সারা জবাব দিয়েছিলেন সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। এবার মুখ খুলতে নারাজ টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ও ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করা সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানও। তবে এই ইস্যুতে বিসিবি যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে তার আঁচ পাওয়া যায় রকিবুলের কন্ঠে, ‘টেকনিক্যাল কমিটি এটার কিছু করবেনা। এগুলো স্পট ফিক্সিংয়ের মধ্যে পড়ে আর সেটা দেখবে দুর্নীতি দমন ইউনিট। গভর্নিং কাউন্সিলের নিয়োগকৃত একজন ছিলেন উনিই এটা সামনে আনেন। এত বড় একটা নো বল, এর আগে আমিরকে দেখেছি আমরা। এটা আমাদের কনসার্নে আছে।’
সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে ডেকে দ্রুত এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ জরুরি বলে মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক। ওই ম্যাচের রেফারি ছিলেন রকিবুল তবে পাননি কোন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, ‘এই প্লেয়ারকে ডেকে পাঠাতে হবে, ফুটেজ দেখতে হবে। ওর অতীত রেকর্ডও ঘেঁটে দেখতে হবে। এরপরের ম্যাচও ও খেলেছে, যদিও এক ওভারের বেশি করেনি, ভালোও করেনি। এটা আসলে একটা পর্যবেক্ষণের ব্যাপার এর আগে কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাবেনা। ম্যাচশেষে আমার কাছে আনুষ্ঠানিক কোন অভিযোগ এসেছে।’
চলতি বিপিএলে এখনো পর্যন্ত লো স্কোরিং ম্যাচ দেখা যায়নি খুব একটা। উইকেটে যে পরিবর্তন এসেছে সেটা জানিয়েছেন ক্রিকেটাররাও। টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য রকিবুল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উইকেটটা অনেক ভালো। ঢাকার উইকেট সবসময় স্পিন বান্ধব দেখি। যেটা অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরণের টুর্নামেন্টে সবাই রান দেখতে চায়। এবার উইকেটটা আমরা ভালো পাচ্ছি। পেস বোলাররা উইকেট পাচ্ছে। বল কিছুটা বাউন্স ক্যারি করছে। বল ব্যাটে আসছে।’
এবারের আসরে স¤প্রচার নিয়ে অবশ্য খুব একটা অভিযোগ নেই ভক্ত-সমর্থকদের। এদিকে মান আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান রকিবুল। বিশেষ করে সাইট স্ক্রিণে ডিআরএস টাইম কাউন্ট ডাউন যুক্ত হচ্ছে দ্রুতই, ‘এবার ৩৪-৩৫টি ক্যামেরা ব্যবহার হচ্ছে। আমরা অ্যাঙ্গেলগুলো পাচ্ছি। আমাদের ডিআরএস আছে এবার। ডিআরএসে আমরা চারটি জিনিস এনেছি আপনারা জানেন। আল্ট্রা এজ তো আছেই। হটস্পট নেই। এটা খুব এক্সপেন্সিভ, এটা আনা যায় না। সেদিক থেকে মনে হচ্ছে এখন পর্যন্ত ব্রডকাস্টিং ভালো হচ্ছে। নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে আস্তে আস্তে। উই আর কম্ফোর্টেবল। আমরা একটা জিনিস সংযোজন করতে চাচ্ছি জায়ান্ট স্ক্রিনে। যেটা নিয়ে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে কথা বলেছি। ডিআরএসের যে কাউন্ট ডাউনটা হয়। এটা যেন জায়ান্ট স্ক্রিনে আমরা আনতে পারি। এটা আমরা করতে যাচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।