পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের দায়ে ফাঁসির দন্ডাদেশ কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ সম্বোধন করায় সংগ্রাম পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। গতকাল শনিবার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনো যেসব অপশক্তি সা¤প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে তাদের মূলোৎপাটন করা হবে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এখনও যেসব অপশক্তি সা¤প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে তাদের মূলোৎপাটন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার হোতা মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি চৌধুরী মঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি এর কারণ আছে। সেটি হচ্ছে যে দেশে তারা পালিয়ে আছেন সে দেশের আইনগত বাধা আছে।মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তকে আনা আইনে অ্যালাউ করে না। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রে যারা পালিয়ে আছেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে একটু অগ্রগতি আছে।
তিনি বলেন, আমরা বোধ হয় তাদের তাড়াতাড়িই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো। চৌধুরী মঈনুদ্দিন, আশরাফ এরা বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের বিচারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত। এদেরকে ফিরিয়ে আনতে ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে।
বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, তালিকা একটা আছে, এটা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের ভুল-ত্রুটি আছে কিনা। তাতে সংযোজন, সংশোধন ও বিয়োজন হতে পারে। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে বুদ্ধিজীবীদের যারা হত্যা করেছে, একাত্তরের প্রেতাত্মা, সা¤প্রদায়িক নব-অপশক্তি আজও এরা বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। এসব বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন করবো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেরকে প্রতিহত করবো, পরাজিত করবো। আজকের এই দিনে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে শহীদ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দৈনিক সংগ্রামের অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে পত্রিকা কার্যালয়ের ভেতরে ভাঙচুর করে। পরে দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে পুলিশে তুলে দেয় তারা। এছাড়া পত্রিকার কার্যালয়ে তালাও দেন তারা।
শুক্রবার বিকাল থেকে সংগঠনটি মগবাজারে অবস্থিত দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। এসময় পত্রিকাটির কয়েকটি কপি আগুনে পোড়ানো হয়। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিক্ষুব্ধরা দৈনিকটির সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।