মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’ মন্তব্যের জন্য তার ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে ভারতের শাসক দল সংসদে তোলপাড় ফেলে দিলেও নিজের অবস্থানে অনড় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি মন্তব্য। সেখানে নমো দিল্লিকে ‘রেপ ক্যাপিটাল’ অর্থাৎ ধর্ষণের রাজধানী বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাহুলের দাবি, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তর-প‚র্বের জোরালো আন্দোলন থেকে নজর ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।
বিজেপির শোরগোলের জবাব দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘আমার ফোনে একটা ক্লিপ আছে, যেখানে নরেন্দ্র মোদিজি দিল্লিকে ধর্ষণের রাজধানী বলেছেন। সেটা ট্যুইট করে দেব, যাতে সবাই তা দেখতে পারেন। উত্তর-পূর্বের থেকে প্রতিবাদ থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপি এটাকে ইস্যু বানাচ্ছে।’ নিজের বক্তব্যের সমর্থনে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘যে দিন মোদি মেক ইন ইন্ডিয়ার কথা বলল, আমরা তখন ভাবলাম খবরের কাগজ মেক ইন ইন্ডিয়ার খবরে ভরে যাবে। কিন্তু এখন যখন আমরা সংবাদপত্র খুলি, তখন শুধু দেশের ধর্ষণের খবরই পড়ি।’
এই মন্তব্য করার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপ ট্যুইট করেন রাহুল। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘মোদীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। ১. উত্তর-পূর্বে আগুন জ্বালানোর জন্য, ২. ভারতের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য, ৩. যে ক্লিপটা অ্যাটাচ করছি তার জন্য।’
বৃহস্পতিবার ঝাড়খন্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীজির মেক ইন ইন্ডিয়ার কথা মনে আছে? মেক ইন ইন্ডিয়া এখন বদলে গেছে রেপ ইন ইন্ডিয়ায়। দেশে যৌন নিপীড়ন যেভাবে বেড়েছে, তাতে গোটা বিশ্বের কাছে দেশের মাথা হেট হচ্ছে।’
রাহুল গান্ধীর ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’ মন্তব্যকে ঘিরে শুক্রবার অধিবেশনের শুরু থেকেই সংসদের দুই কক্ষে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে হইচই শুরু করে দেন বিজেপি সাংসদরা। দলের মহিলা সাংসদদের সঙ্গে নিয়ে লোকসভায় ‘রাহুল গান্ধীকে শাস্তি দিতে হবে’ দাবি তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তার পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সাংসদদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন দেবশ্রী চৌধুরী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রজ্ঞা ঠাকুরসহ বিজেপি’র মহিলা সাংসদরা।
‘এ দেশের সব পুরুষ ধর্ষক নন। রাহুল গান্ধীর প্রায় ৫০ বছর বয়স হতে চলল। তবে উনি আজও বোঝেন না এই ধরনের ভারতে এসে ধর্ষণ মন্তব্যের কী প্রভাব পড়তে পারে!’ অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর দাবি, ‘দেশের প্রত্যেক মহিলাকে অপমান করেছেন রাহুল গান্ধী। তাকে সংসদে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।’ ‘রাহুল গান্ধী ক্ষমা চান’ দাবিতে আসন ছেড়ে এগিয়ে আসেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, রমা দেবীর মতো বিজেপি সাংসদরা।
ধর্ষককে তিন সপ্তাহেই ফাঁসি দিতে অন্ধ্রপ্রদেশে বিল পাস
ধর্ষণ রুখতে কড়া আইন নিয়ে এল অন্ধ্রপ্রদেশের জগন্মোহন রেড্ডির সরকার। শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভায় পাশ হল নয়া বিল। অন্ধ্রপ্রদেশের সেই দিশা বিলে পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে যে, ২১ দিনের মধ্যেই ধর্ষককে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে।
জগন্মোহন রেড্ডির রাজ্যে নতুন যে আইন বলবৎ হল তার পোশাকি নাম ‘ অন্ধ্রপ্রদেশ দিশা অ্যাক্ট ক্রিমিনাল ল’। তেলেঙ্গানায় কিছু দিন আগেই এক পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। গোটা দেশ উত্তাল হয়ে যায় সেই কান্ডে। আর পড়শি রাজ্যেরই এমনতর কান্ডে নয়া আইন আনতে উঠেপড়ে বসে অন্ধ্রের জগন্মোহন রেড্ডির সরকার।
রাজ্যের গৃহমন্ত্রী এম সুচরিতা শুক্রবার বিধানসভায় এই বিল পাশ করেন। আর এই বিলকেই ওয়াইএসআর কংগ্রেসের তরফে বলা হচ্ছে যুগান্তকারী। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।