Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বর্তমান সরকার সকল সম্প্রদায়ের নিজস্ব আচার অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে -মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:০৯ পিএম

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ একটি দেশ। এ দেশে বাঙালী জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি অসংখ্য ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার সকল সম্প্রদায়ের নিজস্ব আচার অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। আওয়ামীলীগ ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ^াসী। এখানে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের লোকজন নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারেছে। বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি আশা করি, ওয়ানগালা উৎসবের মাধ্যমে তারা তাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র ধওে রাখবেন। তিনিবৃহস্পতিবার বিকালে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারার একাডেমীর অডিটরিয়ামে গারো সম্প্রদায়ের ২দিন ব্যাপী ওয়ানগালা উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির ভাষনে এসব কথা বলেন।
নেত্রকোনার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদের সভাপতিত্বে সুলচনা সাংমার সঞ্চালনায় ওয়ানগালা উৎসবে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদার, উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম, জেলা প্রেসক্লাব সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম (শফিক), দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, নির্বাহী পরিষদের সদস্য জেমস জর্নেশ চিরান, বিশিষ্ট লেখক মনিন্দ্র রেমা, ক্ষদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক শরদিন্দু সরকার (স্বপন হাজং)। পরে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।



 

Show all comments
  • Billal Hosen ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:২০ পিএম says : 0
    ” হে মানুষ! আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং পার্থিব জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে প্রতারিত না করে এবং কোন প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে”। (সূরা ফাত্বির ৫ আয়াত) আল্লাহ তাআলা অন্য জায়গায় বলেন, “প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। যতক্ষণ না তোমরা (মরে) কবরে উপস্থিত হও। কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। আবার বলি, কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। সত্যিই, তোমরা নিশ্চিত জ্ঞান থাকলে অবশ্যই তোমরা জানতে (ঐ প্রতিযোগিতার পরিণাম)” (সূরা তাকাসুর ১-৫ আয়াত) তিনি আরও বলেন, “এ পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। আর পরলৌকিক জীবনই তো প্রকৃত জীবন; যদি ওরা জানত”। (সূরা আনকাবূত ৬৪ আয়াত) এ মর্মে প্রচুর আয়াত ও হাদীস রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করা হল- ১) আমর ইবনে আউফ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একবার আবূ উবাইদাহ ইবনে জারাহকে জিযিয়া (ট্যাক্স) আদায় করার জন্য বাহরাইন পাঠালেন। তারপর তিনি বাহরাইন থেকে (প্রচুর) মাল নিয়ে এলেন। আনসারগন তাঁর আগমনের সংবাদ শুনে ফজরের নামাযে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সঙ্গে শরীক হলেন। যখন তিনি নামায পড়ে (নিজ বাড়ি) ফিরে যেতে লাগলেন, তখন তারা তাঁর সামনে এলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাদেরকে দেখে হেসে বললেন, “আমার মনে হয়, তোমরা আবূ উবাইদাহ বাহরাইন থেকে কিছু (মাল) নিয়ে এসেছে, তা শুনেছ।” তারা বলল, ‘জী হ্যাঁ ।’ তিনি বললেন, “সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং তোমরা সেই আশা রাখ, যা তোমাদেরকে আনন্দিত করবে। তবে আল্লাহর কসম! তোমাদের উপর দারিদ্র্য আসবে আমি এ আশংকা করছি না.বরং আশংকা করছি যে, তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের ন্যায় তোমাদেরও পার্থিব জীবনে প্রশস্তুতা আসবে। আর তাতে তোমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, যেমন তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।।” (সহীহুল বুখারী ৩১৫৮,৪০১৫, মুসলিম ২৯৬১) ২) আবূ সাইদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মিম্বরে বসলেন এবং আমরা তাঁর আশেপাশে বসলাম। তারপর তিনি বললেন, “আমি তোমদের উপর যার আশঙ্কা করছি তা হল এই যে, তোমাদের উপর শোভা ও সৌন্দর্য (এর দরজা) খুলে দেওয়া হবে।” (সহীহুল বুখারী ১৪৬৫,৯২২, মুসলিম ১০৫২)
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ