পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আফ্রো-এশিয়ার অবিসম্বাদিত নেতা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৩৯তম বার্ষিকী আজ। ১৮৮০ সালের এদিন (১২ ডিসেম্বর) তিনি সিরাজগঞ্জ শহরের অদুরে সয়া ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে তিনি রেখেছেন অবিস্মণীয় অবদান। তার ‘খামোশ’ হুংকার পাকিস্তানী শাসকদের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। তার নেতৃত্বে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ এখন ইতিহাসের অংশ।
মওলানা ভাসানীর পিতার নাম আলহাজ শরাফত আলী খান ও মা মজিরন বিবি। ছোটবেলায় মা হারানোর পর কৈশোরেই উপমহাদেশের প্রখ্যাত স‚ফী সৈয়দ নাসির উদ্দিন আহমদ বোগদাদীর (র: আ:) অনুসারি হন। তরুণ বয়সে যৌবনের উন্মেষে চিরদিনের জন্য গৃহত্যাগী হন। স‚ফীর সহচর্যে ময়মনসিংহ শহরের উপকন্ঠে তিন বৎসর কাটিয়ে আসামে চলে যান। সেখানে ধুবরী মহকুমার জলেশ্বর গ্রামে সৈয়দ নাসির উদ্দিন আহমদ বোগদাদীর (রহ:) তত্ত¡াবধানে কালক্রমে তাসাউফের সাধনা সমাপ্ত করেন। একই সাথে নেন কিতাবী শিক্ষা। সৈয়দ নাসিরউদ্দিন আহমদ বোগদারীর (রহ: আ:) নির্দেশে উত্তর ভারতের দেত্তবন্দ দারুল উলুম- এ অবস্থান করেন। সেখানে শায়খুল হিন্দ মওলানা মাহমুদুল হাসান ও শায়খুল ইসলাম সৈয়দ হেসোইন আহমদ মাদানীর প্রত্যক্ষ সাহচার্যে শিক্ষা লাভ করেন। এদের সাহচর্যেই রবুবিয়াতের রাজনৈতিক দর্শন শিক্ষা লাভ হয়।
মওলানা ভাসানী মূলত ১৯১১ সালে মওলানা মোহাম্মদ আলীর সান্নিধ্যে এসে রাজনীতিতে নামেন। ১৯১৭-১৮ সালে তিনি প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে তুরস্কের সাহায্যে ভারতবর্ষ স্বাধীন করার পরিকল্পনা রেশমী রুমাল আন্দোলন করেন এবং ১৯১৯ সালে কারাবরণ করেন। দেশবন্দু চিত্তরঞ্জন দাসের সাহচর্য লাভ করেন, দেশবন্ধুর স্বরাজ আন্দেলনে অংশ নেন। খিলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। তিনি ১৯২৫ হতে ১৯২৭ আসামে ও প‚র্ব বাংলায় কৃষক-মজুরদের স্বার্থে সংগঠন গড়ে জমিদার ও সুদখোর মহাজনবিরোধী আন্দোলন করেন। ১৯২৮ সালে কলকাতায় খিলাফত সম্মেলন ও ১৯২৯ সালে আসামের ভাসান চরে দ্বিতীয় বারের কৃষক-প্রজা সম্মেলনে যোগদেন।
বন্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকার ভাসানী ১৯৩৬ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে মুসলিম লীগে যোগদেন। আসামের প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি হন। ১৯৩৭ সালে আসামে কুখ্যাত লাইন প্রথাবিরোধী আন্দোলন করেন এবং আসাম প্রাদেশিক পরিষদে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় সদস্য নির্বাচিত হন। সালে ১৯৪৬ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে করেন। ১৯৪৭ সালের ৫ মার্চ আসামে আন্দোলনের ডাক দেন অত:পর বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ১৯৪৮সালের ১৭ মার্চ প‚র্ব বাংলার ব্যবস্থাপক সভায় বাংলা ভাষার পক্ষ সমর্থনে পাকিস্তনে সাপ্তাহিক ইত্তেফাক প্রকাশ করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা করে সভাপতি হন। এর পরের ইতিহাস সবার জানা।
মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মরণ ও দোয়া মাহফিল কর্মসূচি দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।