মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বজুড়ে এ বছর কমপক্ষে ২৫০ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিককে জেলে পাঠানো হয়েছে চীনে। নিরপেক্ষ সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে কর্তৃত্বপরায়ণ শাসকগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান দমনপীড়নের ফলে এসব ঘটছে বলে বুধবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। এতে বলা হয়েছে, যাদেরকে জেলে পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী অথবা ভুয়া খবর প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের জেলে পাঠানো হয়েছে তুরস্ক, সউদী আরব, মিশর, ইরিত্রিয়া, ভিয়েতনাম ও ইরানে। স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম বিষয়ক এই পর্যবেক্ষক সংগঠন বলছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মিডিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ কড়াকড়ি করেছেন। এ কারণে এ বছর সেখানে কমপক্ষে ৪৮ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠানো হয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় এ সংখ্যা এক বেশি। এর ফলে সাংবাদিকদের জেলে পাঠানোর ক্ষেত্রে এক নম্বর দেশ হয়ে উঠেছে চীন।এর পরেই রয়েছে তুরস্ক। সেখানে এ বছর জেলে পাঠানো হয়েছে ৪৭ জন সাংবাদিককে। তুরস্কে গত বছর জেলে পাঠানো হয়েছিল ৬৮ জন সাংবাদিককে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেখানকার অবস্থার বাস্তব কোনো উন্নতি হয়নি। স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম ও সমালোচনাকে রুদ্ধ করতে অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানের সরকার। সিপিজে বলেছে, তুরস্ক সরকার শতাধিক নিউজ আউটলেট বন্ধ করে দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক স্টাফের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে। ফলে বহু সাংবাদিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। রিপোর্টে সিপিজে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে কর্তৃত্ববাদ, অস্থিতিশীলতা এবং বিক্ষোভের কারণে সাংবাদিকদের জেলে যাওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে মিশরের সঙ্গে রয়েছে সউদী আরবের নাম। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের জেল দেয়ার ক্ষেত্রে সউদী আরব ও মিশর একই অবস্থানে রয়েছে। সারা বিশ্বে তারা এক্ষেত্রে তৃতীয়। প্রতিটি দেশে ২৬ জন করে সাংবাদিককে জেল দেয়া হয়েছে। সউদী আরবে ১৮ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রকাশ করা হয় নি। তবে তারা এখনো জেলে রয়েছেন। চারজন সাংবাদিক সহ রাজনৈতিক বন্দিদের প্রহার, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া এবং অনাহারে রাখার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিপিজে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।