স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের ঈমান ও আমলের উপর চরম আঘাতকারী এই শিক্ষানীতি ২০১০, শিক্ষা আইন ২০১৬ ও বিতর্কিত সিলেবাস বাতিলে প্রয়োজনে ঈমানদার জনতা জীবন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছে। বিতর্কিত শিক্ষানীতি, শিক্ষাআইন এবং পাঠ্যসূচীর মাধ্যমে বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানিত্ব ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন কোনদিন পূরণ করতে দিবে না মুসলমানরা। ভারতের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত নিয়ে অতিকৌশলে সিলেবাসের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ঈমানহারা করার চেষ্টা ঈামনদার মুসলমানরা রুখে দিবে। তিনি বলেন, ইসলামের উপর এত বড় আঘাত অতীতে কোনদিন হয়নি। তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঈমান বিনাশী চক্রান্ত রুখে দাঁড়াতে ময়দানে নেমে আসার আহŸান জানান। পীর সাহেব বলেন, এই উস্কানীমূলক জঘন্য কাজ যারা করেছে ক্ষমতাসীনরা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নিলে শুধু সরকারকেই নয়, গোটা জাতিকে এর মাশুল দিতে হবে।
গতকাল বিকালে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলার এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মুখতার হুসাইন, মাওলানা আবু জাফর আহমদুল্লাহ, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব ও নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।
ধানমন্ডি থানা শাখার ইফতার মাহফিল
এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধানমন্ডি থানা শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিল ধানমন্ডি ১৫নং এলাকার একটি মিলানায়তনে থানা সভাপতি মুহাম্মদ হযরত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নগর নেতা অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা এইচএম সাইফুল ইসলাম ও নুরুজ্জামান সরকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুখলেসুর রহমান, ডা. শহিদুল ইসলাম, আলহাজ মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।