পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হবার কিছু নেই। বিএনপি চোরাবালিতে আছে, পথহারা পথিকের মতো। ইতোমধ্যে দুই উইকেট পড়েছে, আরও পড়বে। আন্দোলনের ডাক দেয় শুনি, দেখতে দেখতে এগারো বছর। আন্দোলন হবে কোন বছর ?
বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার মুখে দুর্নীতি বিরোধী কথা শুনলে হাসি পায়। এ যেনো ভুতের মুখে রাম নাম। আপনাদের সময়ে দেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি এখন নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক। তাই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বিএনপিকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না আওয়ামী লীগ। প্রেস ব্রিফিং আর নালিশ করা ছাড়া বিএনপির আর কোনও অবলম্বন নেই। দেখতে দেখতে ১১ বছর। জনগণ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কারণ বিএনপি জঙ্গিবাদের প্রশ্রয়দাতা, সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার ডাইরেক্ট অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুরা সাবধান। দাগী সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজরাই অনুপ্রবেশকারী। ক্লিন ইমেজ, ভালো লোকদের আপনারা দলে স্থান দেবেন। আত্মীয়-স্বজন দিয়ে পকেট কমিটি দিয়ে রাজনীতি করবেন না। আওয়ামী লীগে পকেট কমিটির কোনও প্রয়োজন নেই। ত্যাগীদের মুল্যায়ন করতে হবে। ছবি ঝুলিয়ে, বিলবোর্ড দখল নিয়ে প্রচার করা যাবে, নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে হলে কর্মীবান্ধব হতে হবে। পরিচ্ছন্ন হতে হবে।’
এদিকে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমানরাই বহাল রয়েছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন।
এর মধ্যে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে পুননির্বাচিত হয়েছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা শাখায় শেখ হারুনুর রশীদ সভাপতি হিসেবে পুননির্বাচিত হয়েছেন। আর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য। সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের অভুক্ত রাখেন না। তবুও আপনারা বোঝেন না। কথায় কথায় আন্দোলনের ডাক দেন। ধর্মঘট করেন। কেন? খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে কে? শেখ হাসিনা। দৌলতপুর মিলসহ সকল বন্ধ কলকারখানা খুলে দিয়েছেন তিনি।’
আন্দোলন থেকে শ্রমিকদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের বেতন ভাতা বাকি আছে একথা বলতে পারবেন না। হয়তো দু›দিন আগে, নয়তো দু›দিন পরে বেতন হয়। অতএব আন্দোলন বন্ধ করুন। উৎপাদনে মনোনিবেশ করুন।’
মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের স্বাগত বক্তৃতায় খুলনার উন্নয়নের দাবি তুলে ধরেন নগর শাখার সভাপতি কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, খুলনা আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। আ.লীগ যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তখন দেশের উন্নয়ন হয়। বিশেষ করে খুলনা তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন হয়। তিনি বলেন, খুলনা-যশোর মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করতে হবে। খুলনা-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবি খুলনাবাসীর।
সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। সম্মেলন পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ড. মসিউর রহমান।
প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। বিশেষ বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, নির্বাহী সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, বাগেরহাট-২ আসনের সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম মিলন, সাবেক মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য গেøারিয়া ঝর্ণা সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।