Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.১৫%

গত অর্থবছর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চূড়ান্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধির আকার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত মার্চে খসড়া হিসেবে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে (একনেক) প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে পরিকল্পনা কমিশন। কমিশনের অধীনে থাকা জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া এ তথ্য তুলে ধরে তারা। পরে একনেক বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বিবিএসের হালনাগাদ প্রতিবেদন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, চূড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছরের জিডিপির আকার চলতি মূল্যে দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ২২ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে শিল্প খাতে চূড়ান্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ ও সেবা খাতে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

এর আগে, গত ১৯ মার্চ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশে।
গত ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকটি ৭ শতাংশের ‘ঘর’ অতিক্রম করে। ২০১৭-১৮, ২০১৬-১৭ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ ও ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। এর আগে প্রায় এক দশক এটি ছিল ৬ এর ঘরে।
চলতি অর্থবছরে জিডিপি ৮ দশমিক ২ শতাংশ হারে বাড়বে বলে প্রাক্কলন করেছে বিবিএস। তবে বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হারে বাড়বে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, এখন থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর দ্রুত যাতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার বাড়লেও মাথাপিছু আয় অপরিবর্তিত রয়েছে। বিবিএস’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাথা পিছু আয় দাঁড়িয়েছে এক ৯০৯ ডলারে। গত মার্চে মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ ডলার ধরা হয়েছিল। মাথাপিছু আয় না বাড়ার কারণ তুলে ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, স¤প্রতি ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা কিছুটা মান হারানোর কারণে ডলারের হিসাবে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়নি। তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে টাকার অংকে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। টাকার অংকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চূড়ান্ত মাথাপিছু আয় হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৪০ টাকা, যা খসড়া হিসাবে ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০ টাকা ধরা হয়েছিল। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৭৫১ ডলার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিডিপি

১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ