পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সংবিধানের মূল স্পিরিট দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা হলেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)কে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান ‘সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু আমাদের এ দেশে এটির প্রয়োজন নেই। সাংবিধানিক স্বীকৃতি ছাড়াই আমরা কাজ করতে পারছি। দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। দুর্নীতিবিরোধী সংবাদকর্মীদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্সা এগেনেস্ট করাপশন-র্যাক’ আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ এ তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্র, সরকার, দুদক, সংবিধান-প্রত্যেকের অভিন্ন লক্ষ্যই হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত জাতি গঠন। সবাই যার যার জায়গায় থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ চেষ্টা সফল হলেই আমি মনে করি দুর্নীতি দমন কমিশন নামক কোনো প্রতিষ্ঠানেরই প্রয়োজন হবে না। আমারতো ধারণা, একদিন এই প্রতিষ্ঠানটি থাকবে না।
গতকাল রোববার বেলা ১২টায় সেগুনবাগিচাস্থ দুদক কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো ‘মিট দ্য প্রেস’র আয়োজন করে র্যাক। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আদিত্য আরাফাতের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি মোরশেদ নোমান। দুদক চেয়ারম্যানের প্রারম্ভিক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ইকবাল মাহমুদ এবং কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম। এ সময় দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মফিজুর রহমান ভুইয়া, মহাপরিচালক (অনুসন্ধান) রিয়াজ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘মিট দ্য প্রেস’র প্রারম্ভিক বক্তব্যে ইকবাল মাহমুদ বলেন, এবছর দুদকের কার্যক্রম ঊর্ধ্বমুখী। তদন্ত, অনুসন্ধান সবই বাড়ছে। আমাদের ওপর জনআস্থা বেড়েছে। ফাঁদ মামলাও হয়েছে অনেক। ফাঁদ মামলার কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষের প্রবণতা কমেছে। অর্থপাচারের ঘটনা ঠেকাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মামলা না করলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক। মানি লন্ডারিং মামলায় সাজাও শতভাগ।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। গণশুনানির সংখ্যা বেড়েছে। মামলায় সাজার হারও বেড়েছে। কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছি। সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিতেও কাজ করা হচ্ছে।’ দায়মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, কোনও মানুষ যেন হয়রানি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সবক্ষেত্রে মামলার চার্জশিট দেয়া যায় না। দুর্নীতির টাকা কোথায় গেল, সেটা বের না করা গেলে চার্জশিট দেয়া সম্ভব না।’
তিনি বলেন, শিশুদের নৈতিকতা বাড়াতে ২৭ হাজার সততা সংঘ ও ৪ হাজার সততা স্টোর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মানসিক পরিবর্তন না হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব না। সবার সমন্বিত প্রয়াস ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব না। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, এখন আর আগের দুদক নেই। অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।