পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকার জঘন্য নাটক করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমি বলবো- দয়া করে নাটক বাদ দিয়ে দেশনেত্রীকে জামিন দিয়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করুন। না হলে দেশের মানুষ কখনোই আপনাদের ক্ষমা করবেনা। দেয়ালের লিখনের ভাষা পড়ুন। মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন।
গতকাল (শনিবার) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে আইনজীবীদের হট্টগোল নিয়ে মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল তাদেরকে ১৩ বছর আগের একটি ঘটনা স্মরণে আনতে বলেছেন। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্যে সুপ্রিম কোর্টে আপিল শুনানির পরে আমাদের দখলদারী মন্ত্রিসভার সদস্যরা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন যেন, সেইদিন শুনানির মধ্যে আমাদের যারা দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য্য দাঁড়িয়েছিলেন তারা মহা অপরাধ করে ফেলেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা এসব কথা বলার আগে নিজেদের পেছনটা কী একবার দেখার চেষ্টা করেছেন? তারা কী একবারও মনে করেছেন তারা কী করেছিলেন? আমাদের আইনজীবীরা তো একটাও খারাপ কাজ করেন নাই। যারা ছিলেন তারা নিজের জায়গায় বসে থেকে তাদের দাবির কথা উচ্চারণ করেছেন। একটা আবেদনের কথা বলেছেন যে, আমরা ন্যায় বিচার চাই, সুষ্ঠু বিচার চাই।
২০০৬ সালে ৩০ নভেম্বরের ঘটনার টেনে এনে মোবাইল ফোনে সেদিনের কিছু আলোকচিত্র সাংবাদিকদের দেখিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর তারা (আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা) আদালতে লাঠি মিছিল করেছেন, ওইদিন আওয়ামী আইনজীবীদের তাÐবে লÐভÐ হয়েছিল প্রধান বিচারপতির এজলাস, তিনদিন বিচারপতিরা কোর্টে আসেননি। আমাদের ওই সময়ের আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমর বীরোত্তমের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট চত্বরেই। হাইকোর্টের মধ্যে বস্তিও বসিয়েছিল, শুনানি স্থগিত হয়েছিল। ২০০৬ সালে চিফ জাস্টিসের কক্ষসহ সুপ্রিম কোর্টে ভাংচুরের ঘটনার ছবি এসেছে গণমাধ্যমে। যাদের ছবি এসেছে তারা পরববর্তিকালে অনেকে বিচারপতিও নিয়োগ পেয়েছেন এবং এখনও বিচারপতি আছেন। এসব আপনাদের (সাংবাদিকদের) সকলের জানার কথা।
মন্ত্রীর উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এখন হুমকি দিচ্ছেন। হুমকি দিচ্ছেন কী- আইনজীবীদের হট্টগোল ক্ষমার অযোগ্য। তাহলে আপনাদের ওইসমস্ত তাÐব ক্ষমা পেলো কীভাবে? সুপ্রিম কোর্টের অতীতের কথাগুলো মনে করিয়ে দেওয়া দরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, কী দুর্ভাগ্য আজকে আমাদের মিডিয়া এই কথা বলতে পারে না, লিখতে পারে না। কারণ তাদের সেই স্বাধীনতা নাই। মিডিয়ার অবস্থাটা এমন হয়েছে যে, সরকারকে বলতেও হয়না, সেলফ সেন্সরশিপ করে। কারণ তাদের টিকে থাকতে হয়, বেঁচে থাকতে হয় এবং সত্য কথাটা তারা বলতে পারেন না, লিখতে পারেন না। তিনি বলেন, দেশবাসীকে মনে করিয়ে দেবার দায়িত্ব মিডিয়ার। আমরা জানি যে, এদেশে মিডিয়া সব সময়ই সেই দায়িত্ব পালন করেছে। জনগণের অধিকারকে রক্ষা এবং তাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যে দায়িত্ব সেই দায়িত্ব তারা পালন করেছে।
ভারতে নাগরিকপঞ্জীর প্রসঙ্গে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, ভারতবর্ষে যে এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জী হচ্ছে- এটা সম্পর্কে নাকি কথাই বলা যাবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কোনো চিন্তার কারণ নেই, উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তারা আমাদের এতো ভালো বন্ধু যে আমাদের কোনো ক্ষতি করবে না। আরে ইতোমধ্যে যেটা হয়ে গেছে সেটার কী হবে? কিছু লোক নাকি চলে এসেছে পুশ ইন। এটা আমার কথা নয়, মিডিয়ার কথা, বিজিবির কথা -কিছু লোককে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আইন পাস হচ্ছে, যেটা হবে যে, যারা এনআরসির বাইরে তাদের মধ্যে যারা অমুসলিম অর্থাৎ খ্রিস্টান-বৌদ্ধ-জৈন-হিন্দু স¤প্রদায়ের, তাদেরকে তারা নাগরিকত্ব দেবেন। আর যারা মুসলিম তাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। প্রশ্ন করলে বলা হচ্ছে যে, তাদের নাকি যাওয়ার জায়গা আছে।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতারও সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পেঁয়াজের দাম কমে তো নাই, আরও বাড়তে শুরু করেছে, চালের দাম বাড়ছে। কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ সরকারের নেই। কিন্তু মুখে তারা তুবড়ি ফুটিয়ে বেড়াচ্ছেন যে, অত্যন্ত ভালো চলছে। উন্নয়ন, উন্নয়ন আর উন্নয়ন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী সোহেল, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।