মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাজ্যসভায় এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। যদিও এবার উচ্চকক্ষে বিল পাস করাতে মরিয়া বিজেপি। এক্ষেত্রে ফ্লোর ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিয়েছেন মোদী-শাহরা। আগামী সোমবারই লোকসভায় পেশ হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯। প্রস্তাবিত বিলটিকে গত বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপি। ফলে ওই দিনই বিলটি পাস হয়ে যেতে পারে সংসদের নিম্নকক্ষে। ক্যাবের বিরোধিতা করবে কংগ্রেস। দলীয় সাংসদদের সভায় উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। একই হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস।
২০১৬ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের থেকে সামান্য বদল রয়েছে ২০১৯-এর প্রস্তাবিত বিলে। নতুন বিলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে এদেশে আসা সেদেশের সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব মেলার নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। অন্যভাবে বললে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরকিত্ব দেবার জন্যই এই বিল।
২০১৬ সালে সরকার ১৯৪৬ ও ১৯২০ সালের আইনানুসারে অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে কিছু গোষ্ঠীকে ছাড় দিয়েছে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ও তার আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রীষ্টানদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, অবৈধ অভিবাসীদের ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির সদস্যরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে বাস করলেও তাঁদের জেলে বা নিজেদের দেশে পাঠানো হবে না। ২০১৬ সালের নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল সংসদে আনা হয়েছে যাতে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব বিল সংশোধন করে এই ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যায়। আগে বলা হয়েছিল এই সব প্রতিবেশী দেশ থেকে এসে ১১ বছরভারতে থাকলে তবেই সে বৈধভাবে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। ২০১৯-এর প্রস্তাবিত বিলে সেই সময়সীমা কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে।
ক্যাব ও এনআরসির বিরোধিতায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। তাদের দাবি ছিল এই আইনের দরুন সেখান জনজাতির অবলুপ্তি ঘটতে পারে। স¤প্রতি উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক্ষেত্রেও বিলে বদল আনা হয়েছে। ফলে, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ ও নাগাল্যান্ডের বিস্তৃর্ণ অংশে আপাতত এনআরসি হবে না। আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় ষষ্ঠ তপশিলের অন্তর্ভ‚ক্ত স্বশাসিত এলাকাগুলিতে এনআরসি লাগু করা হবে না। তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মণিপুরের নাম।
আসামে এর আগে এনআরসি লাগু হয়েছে। নাগিকত্ব থেকে নাম বাদ পড়েছে প্রায় ১৯ লক্ষের। এদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু বাঙালি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস, নাগরিকত্ব বিলের পর এনআরসি লাগু হবে। ভয়ের কারণ নেই। বৈধ দেশবাসীরা নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়বেন না। দেশজুড়েই লাগু হবে এনআরসি। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।