পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719359035](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আজকের দিনটি বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে প্রতিবেশী এই দেশটি।’- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেছেন।
আজ শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ সব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের সরকার প্রধানদের সৌহার্দ্য বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও নিবিড় হবে। আগামী বছর মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন। তাছাড়া ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এবং কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও বাংলাদেশে আসবেন।
‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ বিষয়ক এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গলি দাশ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার কর্নেল শওকত আলী, মানবাধিকার নেত্রী আরমা দত্ত এমপি, ব্রিটিশ মানবাধিকার নেতা জুলিয়ান ফ্রান্সিস এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক বিচারপতি জনাব শামসুদ্দিন চৌধুরী।
রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক ১৯৭১ যেমন ছিল, ভবিষ্যতে তেমনই থাকবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষায়, ‘প্রতিবেশী প্রথম। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম।’
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বেড়ে ওঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, আর যেন কোনো অশুভ শক্তি এখানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। আর যেন ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ করতে না হয়। আর যেন ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ এমন বই লেখা না হয়।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা বন্ধুপ্রতীম ভারত এমন কিছু করবে না যাতে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পারস্পরিক বন্ধুত্বের মাধ্যমেই বাংলাদেশ-ভারত সর্ম্পক এগিয়ে যাবে। দুই দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।