নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইংল্যান্ডের কিংবদন্তী পেসার বব উইলিস ক্যান্সারের কাছে হার মেনে ৭০ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ২২ গজে বিশ্বসেরা সব খেলোয়াড়কে ঘায়েল করলেও থাইরয়েড ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধে হার মানলেন এই কিংবদন্তি পেসার। গতকাল বুধবার উইলিস চলে গেছেন পরপারে।
১৯৭০-৭১ মৌসুমের অ্যাশেজ শুরুর একেবারে আগমুহূর্তে অ্যালান ওয়ার্ডের চোট খুলে দেয় ২১ বছর বয়সী উইলিসের জাতীয় দলের দরজা। হঠাৎ পাওয়া সুযোগটা চমৎকারভাবে কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংলিশদের ২-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
৭০-৮০’র দশকে তখন ক্যারিবিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের জয়জয়কার। ইংল্যান্ড তাদের পাল্টা জবাব দেওয়ার সুযোগটা পেয়েছিল উইলিসের সৌজন্যে। কিংবদন্তি এই পেসারের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত ছিল ১৯৮১ সালের হেডিংলি টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়ান বোথামের আগ্রাসী ১৪৯ রানের ইনিংসের পর বোলিংয়ে তাণ্ডব চালান উইলিস। মাত্র ৪৩ রান দিয়ে ৮ উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছিলেন ১৮ রানের অবিশ্বাস্য জয়।
৯০ টেস্টে নামের পাশে ৩২৫ উইকেট যোগ করে তিনি অবসরে যান ১৯৮৪ সালে। তার আগে ১৮ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে। অবসরের সময় সব মিলিয়ে ডেনিস লিলির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন উইলিস। পরে সেরার জায়গাটা হারান দীর্ঘদিনের সতীর্থ ইয়ান বোথামের কাছে।
খেলোয়াড়ি জীবনকে ইতি জানালেও ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যাননি উইলিস। অবসরের পর ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হিসেবে শুরু করেন নতুন ক্যারিয়ার। মৃত্যুর আগে কাজ করেছেন স্কাই স্পোর্টসের পোস্ট ম্যাচ বিশ্লেষক হিসেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।