পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতীয় লেখক শ্যামল সেনগুপ্তের চিত্রনাট্যে নির্মিত চরম অশ্লীল চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’ মুসলিম বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে গত ২৯ নভেম্বর। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারপারসন মাহবুব রহমানের এই অশ্লীল চলচ্চিত্রটি পশ্চিমা নারী স্বাধীনতার কনসেপ্ট নিয়ে রচিত। ছবিটির বিভিন্ন দৃশ্য এতটাই অশ্লীল যে, পশ্চিমা ভোগবাদী মানসিকতার ‘প্রথম আলো’ পত্রিকাটিও লিখতে বাধ্য হয়েছে, চলচিত্রটিতে ‘এমন সব দৃশ্য আছে, যেগুলো বাংলাদেশি সিনেমায় এই প্রথম। চলচিত্রটি পরিবার নিয়ে দেখা যাবে, এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না।’
‘এই নোংরা চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম দেয়া হয়েছে ‘আয়েশা’। চিত্রনাট্যকার শ্যামল সেনগুপ্ত অথবা প্রযোজক মাহবুব রহমান কেন চলচিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্য মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মহাসম্মানিতা সহধর্মিনী উম্মুল মু’মিনীন হযরত ‘আয়েশা’ রদ্বিয়াল্লাহু আনহার নাম মুবারক বাংলাদেশের মতো শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলিম দেশে ব্যবহার করে কেটি মুসলমানের হৃদয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম-এর সহধর্মিনীগণ মুসলমানগনের ‘মা’ [পবিত্র কুরআন ৩৩:৬] আসলে এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ইসলামবিদ্বেষী চক্রের একটা জঘন্য কৌশল। তারা ইচ্ছা করেই মুসলমানগণের প্রিয়-পবিত্র ও সম্মানিত নামগুলো বিশ্রীভাবে ব্যবহার করে চলছেই। ইতঃপূর্বে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল তার একটি বইয়ের নাম দিয়েছিল ‘ভূতের বাচ্চা সোলায়মান’!
হযরত সুলাইমান (আলাইহিস সালাম) একজন নবীর নাম। এ নামটি ছাড়া লেখক জাফর ইকবাল কেন তার পিতার নাম লিখলো না? অথচ জাফর ইকবাল ভূতের বাচ্চার নাম হিসেবে সেই আমাদের মহান নবীর পবিত্র নামটিকেই বেছে নিয়েছিল কৌশলে নবীর নামটিকে অপবিত্র করার লক্ষ্যে।
শ্যামল সেনগুপ্ত-মাহবুব গং ইচ্ছাকৃতভাবেই একটি অশালীন চরিত্রের জন্য ‘আয়েশা’ নামটি বেছে নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করে অসম্মানিত করেছেন। তারা কেন তাদের স্ত্রী অথবা মেয়েদের নামে চলচ্চিত্র তৈরি করেননি। বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ড কীভাবে এমন একটি অশ্লীল চলচ্চিত্রকে বিনা আপত্তিতে মুক্তিও দিয়ে দিল?
অর্থাৎ সিনেমার নায়িকা আয়েশাকে বিকিনি পরিয়ে সমুদ্রে সার্ফিংয়ে নামিয়ে মা আয়েশার নামকে কলঙ্কিত করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
তাই উম্মুল মুমিনীন, আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহার পূতপবিত্র সম্মানিত নাম ও শানের খেলাফ করায় শ্যামল সেনগুপ্ত এবং মাহবুব গং এবং সেন্সর বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সকলকেই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অপরাধে তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এই অশ্লীল চলচ্চিত্রটি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। এমন একটি অশ্লীল চলচ্চিত্র মুক্তির সবচেয়ে বড় দায়টি নিতে হবে বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ডকে।
শ্যামল সেনগুপ্ত-মাহবুব গং এবং সেন্সর বোর্ডকে এমন একটি অশ্লীল চলচ্চিত্র তৈরি এবং বাংলাদেশে মুক্তির অনুমতি দিয়ে এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এদের সমোচিত জবাব না দিলে অচিরেই এরা জঘন্যতম অশ্লীলতা বাংলাদেশে প্রচলনের আসকারা পেয়ে যাবে। তাই ঈমানী দায়িত্বে প্রত্যেক মুসলমানকে এই অশ্লীলতার বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে হবে। কারণ রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমানদার বান্দাদের পরিচয় দিয়েছেন এভাবেঃ
‘তোমাদের মধ্যে কেউ অন্যায় কাজ হতে দেখলে এবং হাত দিয়ে তা প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন তা নিজ হাতে প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মুখের ভাষায় এবং লিখায় তা প্রতিহত (বা প্রতিবাদ) করে।’ (বুখারী ৯৫৬, মুসলিম ৪৯, তিরমিযী ২১৭২, নাসায়ী ৫০০৮-৯, আবূ দাঊদ ১১৪০, ৪৩৪০; আহমাদ ১০৬৮৯, ১০৭৬৬, ১১০৬৮, ১১১০০, ১১১২২, ১১৪৬৬; ইবনু মাজাহ ৪০১৩)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।