নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অস্টেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টেও একই দশা পাকিস্তানের। দুই ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়েই দেশে ফিরতে হয়েছে সফরকারীদের। অ্যাডিলেডে প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক টিম পেইন। আর ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারের রেকর্ড গড়া ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। আর দুই ইনিংস মিলিয়েও সেই রান সংখ্যা ছুঁতে পারেনি পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত গতকাল অস্ট্রেলিয়ার করা প্রথম ইনিংসের রানের থেকে ৪৮ রান দ‚রে থাকতেই অল আউট হয় সফরকারী পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে ডেভিড ওয়ার্নারের অপরাজিত ৩৩৫ আর মার্নাস ল্যাবুশেনের ১৬২ রানের ওপর ভর করে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৫৮৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দলীয় রান ৮৯ সংগ্রহ করতেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় ৬ ব্যাটসম্যানকে। এরপর দলের হাল ধরেন বাবর আজম। সঙ্গে নেন লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহকে। বাবর শতক থেকে ৩ রান দ‚রে থাকতে আউট হয়ে ফিরে গেলেও শতক তুলে নেন ইয়াসির শাহ্। বাবর ফিরলেও পাকিস্তানের রানের চাকা সচল রাখেন ইয়াসির শাহ্ একাই। বাবরের সঙ্গে গড়েন ১০৫ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে আউট হন ইয়াসির শাহ্ আর পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থামে ৩০২ রান। প্রথম ইনিংস বল হাতে তোপ নিক্ষেপ করেন মিচেল স্টার্ক। একাই তুলে নেন পাকিস্তানের ৬ ব্যাটসম্যানকে। প্যাট কামিন্স নেন ৩টি উইকেট আর বাকি একটি উইকেট ওঠে জশ হ্যাজেলউডের ঝুলিতে।
ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। অবশ্য ভাগ্য বদলায়নি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। দলীয় রান ২০ হতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান আবারও ফেরেন সাজঘরে। এরপর অবশ্য আসাদ শফিকের সঙ্গে জুটি গড়ে শান মাসুদ গড়েন ১০৩ রানের জুটি। তাতেই এক সময় ইনিংস পরাজয়ে এড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল পাকিস্তান। তবে নাথান লায়নের ঘ‚র্ণিতে তা আর হয়ে ওঠেনি।
শান মাসুদ ফেরেন ব্যক্তিগত ৬৮ রানে, এরপর আর বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি আসাদ শফিকও। তিনি ফেরেন ব্যক্তিগত ৫৭ রানে। আর শেষ দিকে মোহাম্মদ রেজওয়ান জকরেন ৪৫ রান।এ ছাড়া বাকিরা তেমন কোনো রান করতে না পারলে মাত্র ২৩৯ রানেই শেষ হয় পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেন নাথান লায়ন। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া মিচেল স্টার্ক নেন একটি উইকেট আর তিনটি উইকেট নেন হ্যাজেলউড। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৩৩৫ রান করায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ডেভিড ওয়ার্নার।
আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়ন শিপে ভারতের সমান ৭ ম্যাচ খেলেও ৪ জয় ২ হার এবং ১ ড্র’তে ১৭৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করেছে অস্ট্রেলিয়া। আর ৭ ম্যাচের সবক’টি ম্যাচ জিতে ৩৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ১২৭ ওভারে ৫৮৯/৩ (ডিক্লে.)। পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৯৪.৪ ওভারে ৩০২ ও ২য় ইনিংস (ফলোঅন) : (আগের দিন ১৬.৫ ওভারে ৩৯/৩) ৮২ ওভারে ২৩৯ (মাসুদ ৬৮, শফিক ৫৭, ইফতেখার ২৭, রিজওয়ান ৪৫, ইয়াসির ১৩, মূসা ৪*; স্টার্ক ১/৪৭, হ্যাজেলউড ৩/৬৩, লায়ন ৫/৬৯)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ৪৮ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও সিরিজ : ডেভিড ওয়ার্নার। সিরিজ : ২ ম্যাচ সিরিজে ২-০তে জয়ী অস্ট্রেলিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।