মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জার্মানিতে সব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ২৮ হাজার ঘনমিটারের পারমাণবিক বর্জ্য যা যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বিগ বেন ক্লক টাওয়ারের মতো ছয়টি স্থাপনার সমান। কীভাবে ধ্বংস করা হবে, তা নিয়ে দেশটির বিজ্ঞানীরা চিন্তায় পড়েছেন। সিএনএন বলছে, বর্তমানে জার্মানিতে সচল রয়েছে ৭টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিপর্যয়ের পর জার্মানির পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক শঙ্কা দেখা দেয়। ফলে দেশটি নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছে দেশটি। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এই বিপুল বর্জ্য কোথায় নিরাপদে রাখা হবে, তা নিয়ে বড় সমস্যায় পড়েছে তারা। ২০২২ সালের মধ্যে সচল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হবে। আর এসব বন্ধ হওয়া কেন্দ্রগুলোর তেজস্ক্রিয় বর্জ্য কোথায় রাখা হবে তা খুঁজে বের করতে একটি কমিটি গঠন করেছে জার্মান সরকার। কমিটির সদস্য টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখের অধ্যাপক মিরান্দা শ্রেয়র্স বলেন, জার্মানির সামনে এটা বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রায় দুই হাজার কন্টেইনার উচ্চ বিকিরণসম্পন্ন পারমাণবিক বর্জ্য ধ্বংসের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে এসব ক্ষতিকর মারণবর্জ্য ধ্বংস করতে হবে। বর্তমানে সচল থাকা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় বর্জ্যগুলো পাশেই তৈরি করা সাময়িক স্থাপনাগুলোয় সংগ্রহ করা হয়। এই বিষয়ে মিরান্ডা শ্রয়াস বলেন, ‘আপনি যদি পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি পরিবহন রডের সঙ্গে থাকা একটি ক্যানিস্টার খোলেন, তাহলে আপনি সঙ্গে সঙ্গে, না হয়ে একটু পরেই মারা পড়বেন। কারণ, রডগুলো খুবই গরম থাকে। তাই এগুলো আগে ঠান্ডা করতে হবে। রডগুলো ঠান্ডা করতে দশকের পর দশক লেগে যাবে।’ শ্রয়াস বলেন, রডগুলো ঠান্ডা করার জন্য জার্মানিতে কিছু অস্থায়ী জায়গা খুঁজে পাওয়া গেছে। সেগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য নতুন জায়গা খোঁজা হচ্ছে। বর্জ্যগুলো যাতে লাখ লাখ বছর নিরাপদে রাখা যায়, সে জন্য কমপক্ষে এক কিলোমিটার ভ‚গর্ভস্থ বর্জ্যভান্ডার গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, এ রকম ভান্ডার গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন ভৌগোলিকভাবে খুবই স্থিতিশীল স্থান। সেখানে কোনো ভ‚মিকম্প হবে না। জলোচ্ছ¡াসের আশঙ্কা থাকবে না। ভ‚মিধসের আশঙ্কা রয়েছে, এমন স্থানও নির্বাচন করা যাবে না। সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।