Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোর অঞ্চলে পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তি

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৯:৫৪ এএম

১৫ দফা দাবিতে যশোর অঞ্চলের পেট্রোল পাম্পগুলোতে চলছেই। রেববার থেকে শুরু হওয়া অনির্দ্দিষ্টকালের ধর্মঘটে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। ট্যাংকলরি মালিক শ্রমিক ও জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। ধর্মঘটের কারণে যশোরের ৭৪টি পেট্রোল পাম্পে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেলসহ সব ধরনের জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দুরপাল্লার যানবাহন চলাচলও অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। জানা যায়,পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির সমর্থনে সবগুলো পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখা হয়। জ্বালানি তেলবহনকারী ট্যাংকলরিগুলোও চলাচল করছে না। শহরের ফিলিং স্টেশনগুলো থেকে জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা তেল উত্তোলন, পবিহন ও বিপণন বন্ধ রাখবেন।
শহরের মনিহার এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে মোটরসাইকেলে জ্বালানি নিতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সাদেকুর রহমান জানান, কোনো পেট্রোল পাম্পেই তেল বিক্রি করা হচ্ছে না। এতে তিনি বিপাকে পড়েছেন। মনিহারের যাত্রীক পেট্রোলিয়াম পাম্পের সামনে বেসরকারি একটি কোম্পানিতে কর্মরত সোহেল রানা বলেন, আমি একটি কোম্পানিতে মার্কেটিংয়ের কাজ করি। প্রতিদিন মোটরসাইকেলে বিভিন্ন এলাকাতে যেতে হয়। হঠাৎ করে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ করে দেয়ায় বিশাল সমস্যায় পড়েছি। তেল ছাড়া মোটরসাইকেল চালাবো কিভাবে! মার্কেটগুলোতে সময়মতো না পৌঁছাতে পারলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী আব্দুল সামাদ বলেন, ১৫ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা সকাল ৬টা থেকে কাউকে তেল দিচ্ছি না। গত শনিবার রাতে অনেকে লাইন ধরে পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে গেছে।
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের স্থানীয় কয়েকজন নেতা বলেন, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন কার্যক্রম বন্ধ রাখবো। জ্বালানি তেল ব্যবহারকারী পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্টরাা বলছেন, তাদের যানবাহনে যে পরিমাণ তেল রয়েছে তাতে হয়তো ২-১ দিন চলবে। কিন্তু যদি তেল বিক্রি অনির্দিষ্টকাল ধরে বন্ধ রাখা হয় তাহলে জ্বালানি তেলনির্ভর সব যানবাহনের চাকা বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক একেএম শামসুল কাদের মিন্টু বলেন, কেন্দ্রীয় সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পেট্রোল পাম্প মালিকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মালিকদের ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলায় সকল প্রকার জ্বালানি তেল বিক্রি, পরিবহন ও উত্তোলন বন্ধ থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ