Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইয়াসিরের সেঞ্চুরির পরও...

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:২০ এএম

ডেভিড ওয়ার্নার খেলেছিলেন ৩৩৫ রানে মহাকাব্যিক এক ইনিংস। তাতেই রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। সেই পাহাড় ডিঙাতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন ইয়াসির শাহ। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির দেখা পেলেও ফলোঅন এড়াতে পারেরি পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে সফরকারি দলের টপ অর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৩০২ রানে অলআউট হয় আজহার আলির দল। এতে ২০১৩ সালের পর প্রথমবার টেস্টে ফলোঅনের লজ্জায় পড়ে এশিয়ার দলটি।

গতকাল বৃষ্টিবিঘিœত তৃতীয় দিনে ফলোঅনের লজ্জার পর আবারো ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। লাল বলে হ্যাজেলউড-স্টর্কের তোপে আবারো লজ্জায় লাল হয়েই দিন শেষ করে তারা। তৃতীয় দিন তারা শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৩৯ রানে। ৭ উইকেট হাতে রেখে ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে আরেকবার ইনিংস হারের শঙ্কায় তারা। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে ৫৮৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল।

৬ উইকেটে ৯৩ রানে গতকালের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। ৪৩ রানে বাবর আজম, আর ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির। ১০৫ রান যোগ করেন তারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটাই পাকিস্তানের সেরা সপ্তম উইকেট জুটি। বাবর অল্পের জন্য মিস করেছেন শতরানের। ১৩২ বলে ১১ চারে ৯৭ রানে মিচেল স্টার্কের কাছে উইকেট হারান তিনি টিম পেইনকে পেছনে ক্যাচ দিয়ে।

পরের বলে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে শ‚ন্য রানে বিদায় করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন এ অজি পেসার। মোহাম্মদ আব্বাস তাকে হতাশ করেন। ইয়াসিরের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানের এটা নবম উইকেটের সেরা জুটি। ৭৮ বলে ২৯ রান করে ফিরে যান আব্বাস।

ইয়াসিরের সেঞ্চুরিতে ব্যাটিং লজ্জার হাত থেকে কিছুটা খামতি হয়েছে পাকিস্তানের। বিপদে হাল ধরা ইয়াসির ১৯২ বলে ১২ চারে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন। টেস্টের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন গড় (১৪.০৬) ব্যাটসম্যান হিসেবে শতকের দেখা পান তিনি, যেখানে তার ওপর কেবল আছেন জেরম টেলর (১২.৯৬)। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ইয়াসির। প্যাট কামিন্সের বলে নাথান লায়নের ক্যাচ হওয়ার আগে ২১৩ বলে ১৩ চারে ১১৩ রান করেন তিনি। স্টার্ক ১২তম বার এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। তিনি শেষ করেছেন ২৫ ওভারে ৬৬ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে। তিনটি নেন কামিন্স।

৩ উইকেটে ৫৮৯ রান করা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ২৮৭ রানে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। তাতে ফলো অনের সুযোগ কাজে লাগায় স্বাগতিকরা। ২০১৫ সালের পর প্রথমবার প্রতিপক্ষকে ফলো অনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অজিরা। বৃষ্টির হানায় কয়েকবার ম্যাচ বন্ধ ছিল, এরই মধ্যে ২০ রানে সফরকারীদের ৩ উইকেট পায় তারা। শান মাসুদ ১৪ আর আসাদ শফিক ৮ রানে অপরাজিত খেলছিলেন। জশ হ্যাজেলউড অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন। স্টার্ক পান বাকি উইকেটটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ