Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্যুতের দাম ২১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

পাইকারি দাম বাড়ানোর আনুপাতিক হারে খুচরা পর্যায়ে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিতরণের মাশুল ২১ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি আগামী মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে।

গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) শুনানিতে এ প্রস্তাব করেন পিডিবির জিএম (বাণিজ্যিক কার্যক্রম) কাউসার আমীর আলী।

প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ও সঞ্চালন মাশুল বাড়লে তা ‘পাস থ্রো’ পদ্ধতিতে সমন্বয় করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যুতের ডিমান্ড চার্জও বাড়াতে হবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিতরণে এক টাকা ৩১ পয়সা ব্যয় হয়েছিল। আগামী ২০২০ সালে বিতরণ ব্যয় এক টাকা ১৮ পয়সা ধরা হয়েছে, যা বিইআরসির হিসাবেও একই। তবে আয় হিসাবে অন্য খাত থেকে ইউনিট প্রতি ১৩ পয়সা আসার হিসাব দিয়েছে পিডিবি।

কিন্তু বিইআরসির হিসাবে তা ১৫ পয়সা, যা বিতরণ ব্যয় থেকে বাদ যাচ্ছে। সে হিসাবে দুই পক্ষের মূল্যায়নের পার্থক্য তিন পয়সা। প্রস্তাবনায় বলা হয়, ট্যারিফ সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ইউনিট মূল্য না বাড়িয়ে ডিমান্ড চার্জ বাড়ানো যেতে পারে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিম্নচাপ (এলটি) সংযোগের লোড ৫০ কিলোওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৮০ কিলোওয়াটে উন্নীত করা। এছাড়া বকেয়া বিলের ওপর এককালীন পাঁচ শতাংশ হারে বিলম্ব পরিশোধ মাশুল আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়।
বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ৮৫ পয়সা হারে বিতরণ মাশুল আদায় করে পিডিবি। ২১ শতাংশ বা ২০ পয়সা বাড়ালে তা এক টাকা পাঁচ পয়সা হবে।

দেশের গুরুত্বপ‚র্ণ জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে গুরুত্বপ‚র্ণ ফিডারগুলোর লোড নির্ধারণ করে ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারকে (এনএলডিসি) আলাদাভাবে জানানোর প্রস্তাব করা হয়। শুনানিতে শহরের প্রান্তিক মানুষের জন্য বিদ্যুতের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে বস্তিতে আলাদা মিটার দেওয়া সম্ভব কিনা, তা জানতে চান ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম।

তিনি বলেন, বস্তিতে দরিদ্র মানুষ বেশি বিদ্যুৎ বিল দেয়।একটি মিটারের অধীনে অনেকগুলো ঘরে লাইন দেওয়া হয়। এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব কিনা? জবাবে পিডিবি জানায়, বস্তিতে আলাদা লাইন দেওয়া সম্ভব। ঢাকার বিহারি ক্যাম্প ও চট্টগ্রামের সুইপার কলোনিতে এভাবে বিদ্যুতের মিটার দেওয়া হয়েছে। সেভাবে বস্তিতেও আলাদা প্রিপেইড মিটার দেয়া যেতেই পারে। শামসুল আলম বলেন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো বছরের পর বছর বিল দেয় না। কিন্তু তাদের বিদ্যুতের লাইন কাটা হয় না।

এ সময় ক্যাবের পক্ষ থেকে সিবিএ (শ্রমিক সংগঠন)-এর কার্যক্রম বন্ধের আবেদন করা হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স এর প্রতিবাদ জানান। দুপুর পর্যন্ত পিডিবির প্রস্তাবের ওপরে শুনানি চলে। এরপর দুপুর ২টায় শুরু হবে নর্দান ইলেক্ট্রি সিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) শুনানি।

আজ সোমবার ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) এবং দুপুরে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এবং দুপুরে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) গ্রাহক পর্যায়ের দাম পরিবর্তনের ওপর গণশুনানি রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুৎ

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ