মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সরকারের পরিবার পরিকল্পনায় অর্থায়ন বৃদ্ধির ফলে আধুনিক জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতির ব্যবহার গত সাত বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতে। ‘ওমেন অ্যাট দ্য সেন্টার ২০১৮-১৯’ শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ১৩.৭ কোটি নারী আধুনিক জন্মবিরতিকরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করছেন। এফপি ২০২০ এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এসব পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে অনাকাঙ্খিত গর্ভসঞ্চার, অনিরাপদ গর্ভপাত এমনকি মাতৃত্বকালীন মৃত্যুকে এড়ানো গেছে। অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০১২ সাল থেকে আধুনিক জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দেড় কোটি। এক্ষেত্রে বর্তমানে আধুনিক জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার নারীদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৪০.২ ভাগ। সব মিলিয়ে ১৩ কোটি ৭০ লাখ বা ১৩.৭ কোটি নারী ভারতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। এফপি ২০২০ নজর দিয়েছে বিশ্বের ৬৯টি দেশে। এসব দেশে মোট যে পরিমাণ নারী এ পদ্ধতি ব্যবহার করেন তার মধ্যে ভারতেই এক তৃতীয়াংশের বেশি। রিপোর্টে যেসব দেশকে আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে পরিবার পরিকল্পনায় যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করে তার মধ্যে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া। এফপি ২০২০’কে দেয়া সরকারের ডাটা অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ সালে পরিবার পরিকল্পনা খাতে ভারত খরচ করেছে ৩১ কোটি ১০ লাখ ডলার। আগের অর্থ বছরের তুলনায় এই অঙ্ক অনেক বেশি। আগের বছ এই অঙ্ক ছিল ২৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এফপি ২০২০-এর ম‚ল অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিন্দা গেটস ফাউন্ডেশন, দ্য ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড এবং ইউএসএইড। এসব বৈশ্বিক অংশীদার নারীর প্রজনন অধিকার সমর্থন করে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ভারতে আধুনিক জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতির প্রয়োজন ছিল না শতকরা ১৮.৯ ভাগ নারীর। ২০১২ সালে এই হার ছিল শতকরা ২০.৩ এবং ২০১৪ সালে তা ছিল শতকরা ২০ ভাগ। এতে আরো বলা হয়েছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রেখে, গর্ভনিরোধক ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়াই অধিক পরিমাণ নারী ও যুবতীর প্রতি বছর প্রয়োজন হবে এমন সেবা। ভারতে প্রতি বছর প্রজনন উপযোগী বয়সী নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রায় ৪০ লাখ। যদি জন্মবিরতিকরণ ব্যবস্থাকে একই ধারায় রাখতে হয়, তাহলে প্রতি বছর অতিরিক্ত দেড় লাখ নারীর প্রয়োজন হবে জন্মবিরতিকরণ সেবা। ডাটা অনুযায়ী, আধুনিক জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে কমপক্ষে ৫.৩ কোটি অনাকাঙ্খিত গর্ভসঞ্চার, প্রায় ১৮ লাখ অনিরাপদ গর্ভপাত এবং ২২ হাজার মাতৃত্বকালীন মৃত্যুকে এড়ানো সম্ভব ২০১৯ সালে। নারীর ডিম্বানুকে নিষ্ক্রিয়করণ (স্টেরিলাইজেশন) ছাড়াও আরো যেসব পদ্ধতি খুব বেশি ব্যবহৃত হয় এক্ষেত্রে তার মধ্যে রয়েছে কনডম, পিল এবং আইইউডি। ২০১৭ সালে এফপি২০২০’র প্রতি নতুন করে প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। সেই প্রতিশ্রুতির অধীনে তারা ২০২০ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনায় ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। সরকারি ডাটা অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরিবার পরিকল্পনা খাতে ভারত বরাদ্দ করেছে প্রায় ২৫০ কোটি ডলার। এর ফলে বলা যায়, আগামী তিন বছরে তারা এই খাতে কেন্দ্রীয় তহবিলের মাধ্যমে বরাদ্দ করবে আরো ১০০ কোটি ডলার। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।