নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মিচেল স্টার্কের পেস ঝড়ের সামনে মাঠে টিকতেই পারছিলেন না পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। টপ-অর্ডাররা তো পুরোপুরি ব্যর্থ। ৮৯ রান তুলতেই পাকিস্তান হারিয়ে ফেলে ছয় উইকেট। এক প্রান্ত আগলে ব্যাট হাতে লড়ে যাচ্ছিলেন কেবল বাবর আজম।
বাবর উইকেটে সঙ্গী করার মতো কাউকেই পাচ্ছিলেন না। শেষে সপ্তম উইকেটে মাঠে নেমে বাবরের সঙ্গে শতরানের (১০৫) জুটি গড়েন ইয়াসির শাহ। পরে নবম উইকেটে মোহাম্মদ আব্বাসের সঙ্গে গড়েন ৮৭ রানের জুটি।
এক পর্যায়ে বাবরও (৯৭) হার মানেন স্টার্কের ঝড়ের সামনে। তিন রানের জন্য বঞ্চিত হন ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট শতক থেকে। তবে ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়ে যান ইয়াসির (১১৩)। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ঠিকই আদায় করে নেন পাকিস্তানের এ স্পিনার।
টেস্টে এর আগে যার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল মাত্র ৪২। সেই ইয়াসির ২১৩ বলে ১৩ বাউন্ডারির দাপুটে এ ইনিংসে দেশের শীর্ষ সারির ব্যাটসম্যানদের শিখিয়ে দিলেন চাপের মধ্যেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে কী করে ব্যাট চালাতে হয়। বড় সংগ্রহ এনে দিয়ে দলকে কীভাবে এগিয়ে নিতে হয়।
আট নম্বরে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে দাপুটে এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন ইয়াসির। পাকিস্তানের সবচেয়ে বয়স্ক সেঞ্চুরিয়ান এখন তিনি। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলতি ডে-নাইট টেস্টে নতুন এ মাইলফলক গড়লেন ৩৩ বছর ২১৩ দিনে।
দেখে নিন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যেসব রেকর্ড গড়লেন ইয়াসির শাহ-
৭- সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ইয়াসির শাহ। এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালে রাঁচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ভারতের ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি করেছিলেন ১১৭ রান।
২০০৬- ২০০৬ সালের পর আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করলেন কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটার। এর আগে ২০০৬ সালে ৮ নম্বরে নেমে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে ১১৩ রান করেছিলেন উমর আকমল।
১- তারে চেয়ে কম ব্যাটিং গড় নিয়ে সেঞ্চুরি আছে কেবল একজনের। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেরম টেইলর ১২.৯৬ ব্যাটিং গড় নিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। অন্যদিকে ইয়াসিরের ব্যাটিং গড় ১৪.০৬।
২১৩- দিবারাত্রির এ টেস্টে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের শেষ চার ব্যাটসম্যান করেছে ২১৩ রান। যা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৬ সালে ব্রিসবনের গ্যাবায় শেষ চার ব্যাটসম্যান করেছিল ২৩০ রান।
১০৫- সপ্তম উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়েন বাবর ও ইয়াসির, যা সপ্তম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ জুটি।
৮৯- এছাড়া নবম উইকেটে মোহাম্মদ আব্বাস ও ইয়াসির শাহ যোগ করেন ৮৯ রান। এটি নবম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বোচ্চ জুটি।
৮৯.৩৩- দুই টেস্টের এ সিরিজে সপ্তম উইকেটে পাকিস্তানের গড় জুটি ৮৯.৩৩। চলতি সিরিজে যেকোনো উইকেটে তাদের সর্বোচ্চ গড় জুটি এটিই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।