Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছারছীনা দরবারের আমল, আকীদা ও সেলসেলার অমিলকারিদের থেকে দূরে থাকতে হবে -ছারছীনা পীর

ছারছীনা মাহফিলের আখেরী মোনাজাত সম্পন্ন

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:৫৮ পিএম

আমিরে হিযবুল্লাহ মুজাদ্দিদে যামান ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন, ছারছীনা দরবার আমলের দরবার। নবীর সুন্নতের তরীকায় দাদা হুজুর হযরত নেছারুদ্দীন (রহ.) ছারছীনা শরীফ প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু একদল মানুষ ছারছীনাকে সামনে রেখে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যাদের মধ্যে ছারছীনা দরবারের আকীদা,আমল,সেলসেলার কোন মিল নেই। সর্বদা এদের থেকে পীর ছাহেব হুজুর কেবলা লাখো লাখো ভক্ত ও মুরিদানদের দূরে থাকতে বলেছেন। 

গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীর কূল ঘেষে অবস্থিত ছারছীনা দরবার শরীফের ১২৯তম ঈছালে ছওয়াব মাহফিলে যোহর নামাজবাদ আখেরী মোনাজাত পূর্বে পীর ছাহেব কেবলা মাহফিলে আগত ভক্ত, মুরিদানসহ উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে এ কথাগুলো বলেন। পীর ছাহেব আরো বলেন, মাহফিলের এ তিনদিনে যত ওয়াজ, নসীহত করা হয়েছে। তা আমল করতে হবে। আমল ছাড়া সবই বিফলে যাবে। কারন ওয়াজ নসীহত শোনার জন্য নয়, ওয়াজ নসীহত হয় আমলের জন্য, এখানে যা আলোচনা হয়েছে দেশে গিয়ে যথাযথভাবে আমল করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমল ছাড়া খাঁটি আল্লাহওয়ালা হওয়া যায়না।
পীর ছাহেব ভক্ত মুরিদানদের আরো বলেন, আল্লাহকে মানবেন আর আল্লাহর হুকুম মানবেন না; হুকুম মানলেন তো আল্লাহর নবীর সুন্নত মানবেন না। তা হবেনা। আল্লাহকে পেতে হলে সব কিছু মানতে হবে। অন্যাথায় এখানে এসে তিন দিনে যা শুনেছেন সবই বিফলে যাবে। দরবারে এসেছেন পীরকে পাওয়ার জন্য নয়, আল্লাহকে পাওয়ার জন্য। তাই আল্লাহর হুকুম আহকাম বিধি বিধান সবই পালন করতে হবে। এমন কাজ করবেন না যাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। পীর সাহেব হুজুর কেবলা বলেন, আমাদের ছারছীনা দরবারের একটা জমিয়াতে হিযবুল্লাহ সংগঠণ রয়েছে। এর মাধ্যমে ছারছীনার ছেলছেলা মেনে চলতে পারবেন। আর আপনাদের সন্তানদের দ্বীনিয়া মাদরাসায় পড়াবেন। সন্তান দ্বীনিয়া মাদরাসায় পড়লে আমল মজবুত হবে। হুজুর কেবলা আরো বলেন, সর্বদা হালাল উপর্যান করে হালাল খাবেন।যে যত হালাল উপার্যন খাবেন সে তত তরিকায় স্বাধ পাবে।
তিনি মাহফিল ময়দানে উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, এদরবার আপনাদের সবার। এ দরবার দেখার দায়িত্ব আমার একার নয়। আমি দাদা হুজুরের খাদেম হয়ে এ দরবার পরিচালনা করছি। এ দরবার দেখার দায়িত্ব আপনাদেরও রয়েছে। যে যেভাবে পারবেন; দরবারের মঙ্গলের জন্য সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। দাদা হুজুরের অনুসারি হতে হলে মুখে দাঁড়ি, মাথায় পাগড়ীসহ গোল টুপি, পাঞ্জাবি পরিধান করে দরবারের সেলসেলায় চলতে হবে। এ বলে পীর ছাহেব হুজুর কেবলা মোনাজাত পরিচালনা করেন।
তিন দিনের এ মাহফিলের শেষদিনে আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে দেশের দূর-দূরান্ত অভ্যন্তরীন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষের যেন ঢল নেমে ছিল। মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত ছারছীনার দিকে নৌ ও সড়ক পথে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল অব্যাহত ছিল। মাহফিল ময়দানে মুলমানদের আগমনে যেন তিল ধারনের জায়গা ছিলনা। মোনাজাতকালে আমীন আমীন ধ্বনীতে আকাশ বাতাস যেন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছারছিনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ