Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঐতিহ্যের রঙ ছড়াতে প্রস্তুত কাঠমন্ডু

জমকালো উদ্বোধনের অপেক্ষায় এসএ গেমস

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

১৯৮৪ ও ’৯৯ সালের পর তৃতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশীয় অলিম্পিক খ্যাত এসএ গেমসের আয়োজন করতে যাচ্ছে নেপাল। তবে এবারের আয়োজনে আগের দুই আসরকেও ছাপিয়ে যেতে চায় কাঠমন্ডু। তাইতো তিনবার সময় বদলেছে তারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগের দিনও কাজ হয়েছে দশরথ স্টেডিয়ামে বাইরের অংশে। কিন্তু এতেও বাধা পড়েনি রঙিন উদ্বোধনে।

বিকেল পাঁচটায় শুরু হবে গেমসের উদ্বোধন। ঘড়ির কাঁটা যখন পাঁচটা ছুই ছুই, ঠিক তখনি দশরথ রঙ্গশালায় প্রবেশ করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী বান্দারি। এরপরই আসবেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। আয়োজক কমিটি তাদেরকে ফুলের শুভেচ্ছায় স্বাগত জানাবে। এরপরেই হবে তিন মিনিটের লেজার শো। সাত দেশের ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহনে মার্চপাস্ট পর্যবেক্ষণ করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। নেপাল অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট জীবন রাম শ্রেষ্ঠা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর ঘোষনা দেবেন। উদ্বোধনী ভাষন দেবেন ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের সদস্য সচিব রমেশ কুমার সিলওয়াল। উপস্থিত থাকবেন ক্রীড়া মন্ত্রী জগত বাহাদুর বিশ্বকর্তা সুনার।

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী বান্দারীর উদ্বোধনী ভাষনের পরেই সাবেক চার তারকা অ্যাথলেট মশাল ব্যাটন নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবেন। শেষে মশাল প্রজ্জ্বলন করে এসএ গেমসে আলো জ্বালাবেন চারবারের সোনাজয়ী সাবেক তায়কোয়ান্ডোকা দীপক বিষ্ঠা। ক্রীড়াবিদদের পক্ষ থেকে শপথ বাক্য পাঠ করবেন তারকা ক্রিকেটার পরেশ খড়কা এবং কোচদের পক্ষ থেকে রেফারি দীপক থাপা। এরপরেই শুরু হবে মিউজিক্যাল পারফরম্যান্স। রঙিন আয়োজনে থাকবে ওয়েলকাম নৃত্য। ১২ মিনিট ধরে নেপালের সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ফোর্সেস ও নেপাল পুলিশের এক হাজার চৌকস সেনারা সাত দেশের নামের সঙ্গে মাঠেই সংশ্লিষ্ট দেশের মানচিত্র ফুটিয়ে তুলবেন। নেপালের ঐতিহ্যগত নৃত্যও থাকবে। যাকে বলা হবে মাসকেলেস থিনিক।

নেপালের প্রায় সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন সঞ্জীব শিল্পকার। এবারও আয়োজনের বড় অংশটি সাজিয়েছেন তিনি। সঞ্জীবের কথায়, ‘আমরা এসএ গেমসের রঙিন উদ্বোধনের চেষ্টা করছি। তিন বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে দিনের পর দিন আয়োজন সাজাতে হয়েছে। গত কয়েকদিনে শত শত ছাত্র-ছাত্রীদের পারফরম্যান্সের উপর নজর রাখতে হয়েছে। আমাদের সংস্কৃতির কোন কিছুই যেন বাদ না পরে, সেদিকে নজর রেখেছি। মোদ্দাকথা একটি নির্মল বিনোদন দেয়ার চেষ্টা করবো দর্শক এবং আগত ছয় দেশের ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তাদের। আশাকরি সবার ভালো লাগবে আমাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ