রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে
কোন জিনিসই ফেলনা নয়। জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানাও তেমনি ফেলনা নয়। বানারীপাড়ায় কচুরিপানা চাষ লাভজনক। অনুন্নত বিল এলাকা বিশারকান্দি। এখানে বারো মাসই পানিবদ্ধতা থাকে। জনযোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। জীবিকার মাধ্যম চাষাবাদ। এখানকার চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যতিক্রমধর্মী। বেশিরভাগ লোকই তরিতরকারি বা সবজি চাষ করে থাকে। ধান চাষ খুব একটা হয় না। এখানকার লোকদের আধুনিক চাষাবাদের সঙ্গে তেমন যোগযোগ নেই। নিজস্ব উদ্ভাবনীর মধ্যে দিয়েই এবং চিরায়ত ধ্যান-ধারণাকে আঁকড়ে এদের জীবন সংসার এবং পেশাগত কাজ-কর্ম। বেশিরভাগ লোকই হিন্দু সম্প্রদায়ের। স্থানীয়ভাবে ওই এলাকার চাষাবাদের জন্য যে উপাদানের প্রয়োজন তা হচ্ছে কচুরিপানা। বেশি ফলন এবং জমির অভাবে অর্থাৎ জলমগ্ন থাকায় পানির উপর ভাসমান ‘ঢুপ’-এর মাধ্যমে ফসল ফলায়। ঢুপ হচেছ ভাসমান বিভিন্ন আর্বজনা বিশেষ করে কচুরিপানার পচনকৃত স্তূপ। যা জৈব সারে পরিণত হয়। ভাসমান এ ঢুপের স্তূপের উপরই মূলত এরা চাষাবাদ করে বিভিন্ন সবজির। ফলনও হয় খুব বেশি। পানিবদ্ধতা বিল এলাকায় কচুরিপানার চাষ করে প্রতিটি পরিবার। বাধ্য হয়েই এর চাষ করতে হয়। বারো মাসই এ কচুরিপানার প্রয়োজন হয়। শুধু চাষের জন্য নয়। জ্বালানি হিসেবে শুকনো কচুরিপানার প্রয়োজন হয়। শ্রাবণ, ভাদ্র মাসে কচুরিপানার বংশ বৃদ্ধি হয়। চাষের জন্য তেমন বিশেষ কিছু করতে হয় না। শুধুমাত্র পরিচর্যাই প্রধান। যে কোন সুবিধাজনক স্থানে স্থায়ীভাবে জীবিত কচুরিপানা বাঁশ দিয়ে বেড়া দিতে হয়। বাঁশ ছাড়াও অন্যান্যভাবেও শুধুমাত্র কচুরিপানাকে নড়াচড়া না করে এমনভাবে আবদ্ধ রাখা হয়। এলাকাবাসী জানায়, ওই এলাকায় ৬-১০ হাত পানির গভীরতা থাকে। সে অনুযায়ী বাঁশ খাঁড়াভাবে পানির মধ্যেই পুঁতে রাখতে হয়। ওই বাঁশের সঙ্গে কিছু কচুরিপানা বেঁধে রাখে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে ওই কচুরিপানা বৃদ্ধি পেতে থাকে। রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় যাতে কেউ নিয়ে না যায় বা গো-খাদ্যের জন্য কেটে না নেয়। রবিশস্যের মৌসুমে এ কচুরিপানা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে স্তূপ করা হয়। এক সপ্তাহ থেকে পনের দিনের মধ্যে এর পচন ধরে। তখন সামান্য মাটির আবারণ ক্ষাণিকটা কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ওই কচুরিপানার স্তূপের (ঢুপ) উপর বিভিন্ন সবজির চাষ করা হয়। ওই এলাকার লোকজন কচুরিপানার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া ও এলাকার লোকজন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। যারা কচুরিপানা সংগ্রহ করেন না অথচ চাষের ব্যবসায়িক উৎপাদন করেন তারা ওই কচুরিপানা ভালো মূল্য দিয়ে ক্রয় করেন। যে কারণে লোকজন কচুরিপানা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।