Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীরি নারীদের ধর্ষণ করেও দায়মুক্তি পায় ভারতীয় বাহিনী : এইচআরডব্লিউ

কাশ্মীর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন : ভারতকে সুইডেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

কাশ্মীরের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-র এক প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে যখন বিশ্বজুড়ে ১৬ দিনের একটি কর্মস‚চি নেয়া হয়েছে, তখন মানবাধিকার সংস্থাটি এ খবর দিলো। পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য ডনের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর ওই কর্মস‚চি গ্রহণ করা হয়েছে। এ দিনটি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বকে চলতি বছর ঐক্যবদ্ধ করার প্রত্যাশা করছেন মানবাধিকার কর্মীরা। কাশ্মীরের মানুষজনের মনোবল ভেঙে দিতে নারীদের নিশানা করেছে ভারতীয় বাহিনী বলে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার সা¤প্রতিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, কাশ্মীরী নারীদের ধর্ষণ করেও নিয়মিতভাবে দায়মুক্তি পেয়ে আসছে ভারতীয় বাহিনী। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘যুদ্ধ ও শান্তির সময়েও যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। তিনি বলেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার অবসান ঘটানোর সময় এখনই। এদিকে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বিস্তৃত বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা মারিয়া লুইজা রিবেইরো ভিয়োট্টি। অন্যদিকে অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা গত জুলাইয়ে নথিভুক্ত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার। এসবের মধ্যে রয়েছে- বিচার বহির্ভ‚ত হত্যাকান্ড, বিনাবিচারে ডিটেনশন, কারাগারে মৃত্যু, জোরপ‚র্বক নিখোঁজ এবং খারাপ ব্যবহার ও নির্যাতন এবং ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা। এছাড়াও ওই প্রতিবেদনে আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট, ১৯৯০-র আওতায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী দেয়াকে বিশেষ ক্ষমতার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। রয়টার্সের অপর এক খবরে বলা হয়, কাশ্মীর প্রশ্নে ইউরোপের অন্য একাধিক দেশের সঙ্গে এবার গলা মেলালো সুইডেনও। বৃহস্পতিবার সুইডিশ পার্লামেন্টে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান লিন্ডে। তিনি বলেন, উপত্যকা থেকে দ্রুত সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুক ভারত। একই সঙ্গে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়েই যেন উপত্যকায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেয় ভারত। সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথাও বলেছেন। চলতি সপ্তাহেই ছয় দিনের ভারত সফরে আসছেন সুইডেনের রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ ও রানি সিলভিয়া। রাজা-রানীর প্রতিনিধি দলে থাকবেন অ্যান লিন্ডেও। সেই সফর শুরুর আগেই পার্লামেন্টে তার বক্তব্যে বেশ অস্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ডন, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ