বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : নওগাঁর ধামইরহাটে হিল্লা বিয়ে থেকে রক্ষা পেল এক গৃহবধূ। জানা গেছে, উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত শল্পী গ্রামের জামাল উদ্দিনের পুত্র ইউনুস আলীর সাথে একই উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের ধুরইল গ্রামে মৃত আফসারী আলীর কন্যা মোসা. মেরিনা খাতুন (৪০) প্রায় ২৫ বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই তাদের সংসারে ১টি ছেলে ও ১টি মেয়ে সন্তান লাভ করে। সংসার ভালই চলছিল। গত এপ্রিল মাসে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদকলহ দেখা দেয়। এর এক পর্যায়ে স্বামী ইউনুস তার স্ত্রী মেরিনাকে মৌখিকভাবে তালাক প্রদান করে। তালাক প্রদানের পর মেরিনা তার বাবার বাড়ী ধুরইল গ্রামে যায়। সেখানে কিছু দিন থাকার পর তার স্বামী ভুল বুঝতে পেয়ে শ্বশুর বাড়ী থেকে মেরিনাকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভুল বুঝাবুঝির অবসান হলেও বাঁধ বাঁধে স্থানীয় সমাজপতিরা। ইউনুস আলীর গ্রামের লোকজন তার স্ত্রীকে হিল্লা বিয়ে দেয়ার পর তাকে আবার বিয়ে করতে হবে বলে রায় দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা নারীর অধিকার আদায় ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করে একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আলোকিত মানুষ প্রকল্পের মঙ্গলবাড়ী শাখা কার্যালয়ে গিয়ে ওই সংস্থার প্রজেক্ট অফিসার জুলেখা আক্তারের নিকট সবকিছু বর্ণনা করেন। গত ১৪ জুন তারিখে আলোকিত মানুষ প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার জুলেখা আক্তার, ওই সংস্থায় নিয়োজিত আইনজীবী হাসানুজ্জামান ও প্রোগ্রাম ফ্যাসিলিটেটর সারমীন সুলতানা নীপা ঘটনাস্থল ইউনুস আলীর গ্রামে যায়। তারা ওই গ্রামের স্থানীয় মাতব্বর, ধর্মীয় নেতা ও সুধীমহলকে নিয়ে বৈঠকে বসে। মৌখিক তালাক যে আইন সম্মত নয় এবং এ তালাকের প্রেক্ষিতে কাউকে হিল্লা বিয়ে দেয়া যাবে না এ বিষয়ে গ্রামবাসীকে আইনগত দিক অবগত করা হয়। গ্রামবাসী তাদের ভুল বুঝতে পেয়ে ইউনুস আলী ও তার স্ত্রী মেরিনা খাতুন একই সঙ্গে বসবাস করতে সম্মতি জ্ঞাপন করে। এর ফলে গৃহবধূ অনাকাক্সিক্ষত হিল্লা বিয়ে থেকে রক্ষা পেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।