মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সংস্কৃত অধ্যাপকের পদ ছেড়ে এবার আয়ুর্বেদ বিভাগে অধ্যাপনা করতে চেয়ে আবেদন করলেন ফিরোজ খান। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত অধ্যাপক পদে ফিরোজ খানের নিয়োগের পর থেকে ধর্ম নিয়ে তরজা লেগেই থেকেছে। শিক্ষার্থীদের ধর্না থেকে প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীকে অধ্যাপকদের দেওয়া চিঠি, সংস্কৃতে ডক্টরেট ফিরোজ খানকে ঘিরে ক্রমেই ঘনীভ‚ত হচ্ছিল ‘ধর্ম সংকটের মেঘদ‚তম’।
তবে শেষ পর্যন্ত জট কাটালেন ফিরোজ খান নিজেই। সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজ্ঞান (এসভিডিভি) বিভাগে যোগ দেওয়ার পর থেকেই পালিয়ে পালিয়ে থেকেছেন এই অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় স‚ত্রের খবর, “ফিরোজ খান আয়ুর্বেদ বিভাগে যোগদান করতে নিজে তেমন উৎসাহী নন, কারণ এটি তার বিষয় নয়। এমনকী সংস্কৃত সাহিত্যের মতো এত বিপুল নয় আয়ুর্বেদ। যদি এই বিভাগের জন্য উনি নির্বাচিত হন, তাহলে এসভিডিভি থেকে পদত্যাগ করবেন ফিরোজ খান।” যদিও আয়ুর্বেদ বিভাগের অধ্যাপক বলেন, “এই বিষয়টিতেও বেদ, ভারতীয় দর্শন, সংস্কৃত ব্যাকরণ রয়েছে।” এদিকে, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে ফিরোজ বলেন, “সারা জীবন ধরে আমি সংস্কৃত পড়ে এসেছি। কোথাও মনে হয়নি, আমি মুসলিম বলে সংস্কৃত পড়তে পারব না। এবার যখন সংস্কৃত পড়াতে গেলাম তখন তার মধ্যে ধর্ম নিয়ে আসা হল।” নেট এবং জেআরএফ সম্প‚র্ণ করা কৃতী ছাত্র ফিরোজ বলেন, “আমি ক্লাস টু থেকে আমার মহল্লাতেই সংস্কৃত পড়া শুরু করি। সেখানে প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিমের বাস। কোনও দিন আমাদের সমাজ কিংবা মৌলবিরা আমাকে এ ব্যাপারে বাধা দেননি। আমি কোরানের চেয়ে অনেক বেশি সংস্কৃত জানি। আমি মুসলিম জেনেও আমার সংস্কৃত জ্ঞানের প্রশংসা করেছেন হিন্দুরা।” এক নিঃশ্বাসে বললেন ফিরোজ। উল্লেখ্য, তার বাবা রমজান খানও ছিলেন সংস্কৃতের ছাত্র।
যদিও ধর্নায় শামিল ছাত্রদের মধ্যে এবিভিপি, কেন্দ্রীয় ব্রাহ্মণ মহাসভা এবং আরএসএস-এর সদস্য শশীকান্ত মিশ্র, শুভম তিওয়ারী এবং চক্রপানি ওঝাদের বক্তব্য ছিল, “যদি কেউ আমাদের ধর্মের না হয়, তাহলে সে কীভাবে আমাদের সংস্কৃতি বুঝবে? কীভাবে তিনি আমাদের ধর্মকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন?” এই দাবি মানতে নারাজ ফিরোজ। তিনি বলেছেন, “যাঁরা বলছেন আমি মুসলমান হয়ে হিন্দুত্ববাদ পড়াতে পারব না, তাঁদের আমি বলব, আমি সংস্কৃত ভাষা সাহিত্যের খুঁটিনাটি ছাত্রছাত্রীদের কাছে তুলে ধরি। যেমন অভিজ্ঞান শকুন্তলম, উত্তর রামচরিতম্ ইত্যাদি। এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্কই নেই।” স‚ত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।